পাটনার পারাস হাসপাতালের ভেতর গ্যাংস্টারকে গুলি (Bihar)! ‘এটা সাধুর আশ্রম নয়’, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মানঝি, নিরাপত্তা ব্যর্থতায় দায় চাপালেন বেসরকারি হাসপাতালের ওপর (Bihar)।
পাটনার পারাস হাসপাতালে ঘটে গেল রীতিমতো সিনেমার মতো ঘটনা। রবিবার গভীর রাতে পাঁচজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ভিতর (Bihar)। টার্গেট ছিলেন বিচারাধীন গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র, যিনি বক্সার জেল থেকে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি গ্যাংস্টারকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুঁড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা (Bihar)। পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে, যেখানে দেখা গেছে, হামলাকারীরা একেবারে নির্ভয়ে করিডর দিয়ে হেঁটে ঢুকছে, গুলি চালিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে—একটিও প্রতিরোধ নেই।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ছড়িয়েছে প্রবল বিতর্ক (Bihar)। এরই মাঝে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মানঝি। তাঁর দাবি, “এটা কোনও সাধুর আশ্রম নয়, এটা গ্যাংওয়ার। সরকারি হাসপাতাল হলে সরকার ব্যবস্থা নিত, কিন্তু এটা তো বেসরকারি হাসপাতাল।”
তিনি আরও বলেন, “পারাস হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া। এই ধরনের হাসপাতাল কোটি কোটি টাকা ফি নেয়, অথচ নিরাপত্তার দিক থেকে শূন্য! এখন যদি এমন ঘটনা ঘটে, সরকারকে কেন দোষারোপ করা হবে?”
এই ঘটনার দায় পুরোপুরি পারাস হাসপাতালের কাঁধে চাপিয়ে দেন মানঝি। তাঁর কথায়, “হাসপাতাল নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকমতো চালায়নি বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু আগে নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।”
এছাড়া তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “এখন বিহারে অপরাধীদের তো গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। যারা অপরাধ করবে, তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দন মিশ্র একাধিক গ্যাংস্টার মামলার মূল অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটা পুরোপুরি আন্তঃগ্যাং প্রতিহিংসার ফল। “এটা নিছক গুলি চালানোর ঘটনা নয়, এটি একটি গ্যাংওয়ার,” বলেন পাটনা সেন্ট্রাল রেঞ্জের আইজি জিতেন্দ্র রানা।
এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পুরনিয়া লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পাপ্পু যাদব বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, “এ রাজ্যে কেউই নিরাপদ নয়—না ডাক্তার, না নার্স, না রোগী! বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত। এই সরকার শুধু অপরাধীদের রক্ষা করে চলেছে।”
আরজেডি-র মুখপাত্র মৃণাল তিওয়ারিও অভিযোগ করেন, “নীতীশ কুমারের সরকার অপরাধ ও অপরাধীদের সামনে পুরোপুরি মাথা নত করেছে। এই রাজ্যে আইনের কোনো অস্তিত্ব নেই।”