Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ? বিহারে ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কায় লাখো মানুষ!
দেশ

৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ? বিহারে ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কায় লাখো মানুষ!

fake voter cards
Email :18

আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ এখনও আসেনি, বাকি আছে প্রায় দশ দিন (Bihar)। কিন্তু তার আগেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল নির্বাচন কমিশন। তাদের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, বিহারে অন্তত ৩৫ লক্ষ ভোটারের নাম মুছে যেতে পারে আসন্ন ভোটার তালিকা থেকে। এই তথ্য সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে (Bihar)।

নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬.৬ কোটি ভোটারের তথ্য যাচাই করে নেওয়া হয়েছে (Bihar)। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক এই পরিসংখ্যান। বলা হচ্ছে, নতুন তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে মোট ভোটারের প্রায় ৫ শতাংশ, যা গণনায় দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ লক্ষ (Bihar)।

এই ৩৫ লক্ষ বাদ যাওয়া ভোটারের মধ্যে রয়েছেন:

প্রায় ১২.৫ লক্ষ মৃত ব্যক্তি, যাদের নাম এখনও পুরনো তালিকায় রয়ে গিয়েছে,

প্রায় ১৭.৫ লক্ষ মানুষ স্থায়ীভাবে বিহার ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন,

এবং আরও ৫.৫ লক্ষ ভোটার আপাতত বিহারের বাইরে অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছেন।

কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট প্রকাশিত হবে ভোটার তালিকার খসড়া। তবে এই তালিকায় শুধুমাত্র তাঁদের নামই থাকবে, যারা ২৫ জুলাইয়ের আগে ফর্ম জমা দিয়ে ২০০৩ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নিজেদের নাম যাচাই করাবেন। অর্থাৎ, যারা এখনও ফর্ম জমা দেননি, তাঁদের জন্য ঘড়ি টিকটিক করছে!

এদিকে, এই ব্যাপারে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মহুয়া মৈত্র-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি কমিশনের এই ‘বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার’ বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন, কিন্তু তাতে আশানুরূপ ফল মেলেনি। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ সংবিধানসম্মত এবং তাদের কাজ করতে কেউ বাধা দিতে পারে না।

এই প্রসঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২৮ জুলাই দিনটি নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি নির্ণায়ক দিন হতে চলেছে। কারণ, ওই দিন শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিই নয়, সম্ভবত গোটা দেশজুড়ে এই বিশেষ ভোটার সমীক্ষা চালানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কমিশন। সূত্রের খবর, দেশব্যাপী এই উদ্যোগের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হল, অবৈধ ও অপ্রাসঙ্গিক ভোটারদের চিহ্নিত করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts