বিহারে প্রথম দফার ভোটে সকালটা ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ। বুথে বুথে ভোটারদের ভিড়, প্রশাসনের তৎপরতা— সব কিছুই ছিল নিয়মমাফিক। কিন্তু দুপুর গড়াতেই পরিস্থিতি বদলে গেল। উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী বিজয় কুমার সিনহার (Bihar Election) কনভয়ে হামলার খবর চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা রাজ্যে। নিজের কেন্দ্র লক্ষ্মীসরাইয়ে (Bihar Election) প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন তিনি। অভিযোগ, আচমকাই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ও জুতো ছুড়তে শুরু করে। শোনা যায়, জনতার মুখে ‘খুনি’, ‘মুর্দাবাদ’ স্লোগান। মুহূর্তে এলাকায় তৈরি হয় তীব্র উত্তেজনা।
হামলার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গেরুয়া নেতা (Bihar Election)। উপমুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “এরা সব আরজেডির গুন্ডা। ভোটে হেরে যাবে বুঝেই এখন গুন্ডামি করছে।” এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ক্ষমতায় এলে এদের বুকের ওপর বুলডোজার চালাব। এই গুন্ডাগিরি আর চলবে না।” বিজয় কুমার সিনহার দাবি, তাঁর পোলিং এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে মানুষ ভোট দিতে না পারে।
অন্যদিকে, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের শিবিরও পাল্টা অভিযোগে সরব (Bihar Election)। তাদের বক্তব্য, প্রশাসন ইচ্ছে করে আরজেডির শক্ত ঘাঁটিগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রাখছে, যাতে ভোটদানে সমস্যা হয়। এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সব মিলিয়ে, প্রথম দফার ভোটে উত্তেজনা চরমে। একদিকে উপমুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা, অন্যদিকে ভোটারদের হয়রানির অভিযোগ— দুই পক্ষের সংঘাতে অশান্ত হয়ে উঠছে বিহারের রাজনৈতিক আবহাওয়া। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, এবং অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক তরজায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিহার। এনডিএ দাবি করছে, “আরজেডি বুঝে গেছে মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাই গুন্ডাবাহিনী নামিয়েছে।” পাল্টা আরজেডির বক্তব্য, “বিজেপি হারছে বুঝে নাটক করছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, এই হামলা কেবল আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন নয়, বরং বিহার নির্বাচনে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত।
উল্লেখ্য, প্রথম দফায় ১৮ জেলার ১২১টি আসনে ভোট চলছে। তেজস্বী যাদব, তেজপ্রতাপ যাদব, বিজয় কুমার সিনহা, সম্রাট চৌধুরী, খেসারীলাল যাদব-সহ একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীর ভাগ্য আজই ইভিএমে বন্দি হচ্ছে।







