প্রশান্ত কিশোর কি এবারও বিহারের মানুষের মন ছুঁতে পারলেন না (Bihar Election result)? পদযাত্রায় যে দর্শকস্রোত দেখা গিয়েছিল, তা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন—বিহারের রাজনীতিতে এবার নতুন অধ্যায় খুলে দিতে পারেন ‘পিকে’। কিন্তু ভোটের ব্যালটে যেন উল্টো চিত্র (Bihar Election result)। মগধভূমির হাই ভোল্টেজ নির্বাচনে এখনও একটি আসনও ছুঁতে পারল না তাঁর দল জন সুরাজ পার্টি। শুরুতে দু’টি আসনে লিড থাকলেও দুপুর গড়াতেই সেই আলো মিলিয়ে গেল। শূন্য হাতে ফেরার আশঙ্কা (Bihar Election result) এখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, বাড়ছে প্রশ্ন—বিহারের মানুষ কি তাঁকে এখনই সুযোগ দিতে রাজি নয়?
যে প্রশান্ত কিশোরের পদযাত্রায় প্রতিটি দিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমাতেন (Bihar Election result), সেই পিকের দলই ভোটের দিনে যেন অদৃশ্য। প্রচারপর্বে তিনি বারবার বলেছিলেন—“মানুষ যদি আমার কথা বোঝে, আমি টপ করব।” কিন্তু ভোটার কি সত্যিই তাঁর কথা বুঝলেন? নাকি বোঝানোর জায়গাটাই দুর্বল হয়ে রইল? তার উত্তর যেন ভোটের অঙ্কই দিয়ে দিল।
বুথ ফেরত সমীক্ষা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল, জন সুরাজের জন্য কাজটা খুব কঠিন (Bihar Election result)। জন সুরাজ পার্টি ২৪৩টির মধ্যে লড়েছিল ২৩৮টি আসনে, কিন্তু অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বা ভোট ভাইব—উভয়েই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল সর্বোচ্চ ২টি আসন। দৈনিক ভাষ্কর এবং টুডে চাণক্য তো সরাসরি বলেছিল—পিকের দল পাবে শূন্য। ঠিক মতোই তাই হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এই নির্বাচনে যদি দলটির মুখ হিসেবে নিজে দাঁড়াতেন পিকে, তবে কি ছবিটা বদলাত?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জন সুরাজ পার্টির জেতা-হারা বিহারের রাজনীতিতে শেষ কথা নয় (Bihar Election result)। বরং তারা মাঠে নামায় ভোটে একটা ভিন্ন বাতাস তৈরি হয়েছিল। মানুষের নির্বাচনী মনস্তত্ত্বে কিছুটা হলেও আলোড়ন তুলেছিল পিকে-র প্রচার। কিন্তু বাস্তব সমস্যা হল—বিহারের ৯০ শতাংশ জনগণ ‘অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি’র অন্তর্গত, যাদের নিয়ে বরাবর কাজ করেছে নীতীশ কুমারের রাজনীতি। সেই ইবিসি ভোটব্যাঙ্ককে গুরুত্ব দেননি পিকে। জাতভিত্তিক রাজনীতিকেও এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। এই দুই ভুলই তাঁর স্বপ্নকে পিছনে ঠেলে দিল, ভোটের মাঠে তাঁকে করল দুর্বল।
বহু দিন ধরেই আলোচনায় ছিল—পিকে কি বিহারের কেজরীবাল হতে পারেন (Bihar Election result)? কিন্তু এই ফলাফলে সেই সম্ভাবনাও আপাতত সম্পূর্ণ খারিজ। বিহার থেকে বিহারে ফেরার পথ এবার আরও কঠিন হয়ে গেল প্রশান্ত কিশোরের। জনতার ভিড় বাস্তব ভোটে রূপান্তরিত হল না—আর সেই ব্যর্থতার দায় আজ সম্পূর্ণ তাঁর কাঁধেই।










