গুজরাতের ভরুচ জেলার ভূমি চৌহান মাত্র ১০ মিনিটের জন্য মিস করেছিলেন সেই ভয়ংকর দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট (Plane crash) AI171। এখন তিনি বলছেন, এই ঘটনাকে তিনি ‘দ্বিতীয় জন্ম’ বলে মনে করছেন। এক সাক্ষাৎকারে ভূমি জানান, “আমার ফ্লাইট ছিল দুপুর ১টা ১০ মিনিটে। আমাকে ১২টা ১০ মিনিটের মধ্যে চেক-ইন করতে হত। কিন্তু আমি ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়েছিলাম। যখন এয়ারপোর্টে পৌঁছালাম, ততক্ষণে চেক-ইন বন্ধ হয়ে গেছে।”
তিনি আরও জানান, “আমি ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ পৌঁছাই এবং দ্রুত চেক-ইন কাউন্টারের দিকে ছুটে যাই। কিন্তু আমাকে আর বোর্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি, কারণ আমি নির্ধারিত সময়ের পরে পৌঁছেছিলাম (Plane crash)।”
ভূমি জানাচ্ছেন, প্রথমে ফ্লাইট মিস করায় তিনি খুবই দুঃখ পেয়েছিলেন, কারণ তিনি লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য এই যাত্রা করছিলেন। কিন্তু পরে বাড়ি ফেরার পথে যখন জানতে পারেন যে ওই ফ্লাইটটি ভয়ংকর দুর্ঘটনার (Plane crash) কবলে পড়েছে, তখন যেন তাঁর মনে হল জীবনে তিনি পুনর্জন্ম পেয়েছেন।

ভূমি বলেন, “আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবতী মনে করছি। হয়তো কিছু ভালো কাজের ফলেই আমি বেঁচে গেছি। এটা সত্যিই আমার দ্বিতীয় জন্ম (Plane crash)। তবে সেই মুহূর্তেই আরেকটি চিন্তা মাথায় আসে—এই ভয়ংকর দুর্ঘটনায় এত নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সেটাই সবচেয়ে কষ্টের।”
ঘটনাটি ঘটে (Plane crash) এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান AI171-এর সঙ্গে, যেখানে ২৪২ জন যাত্রী ও কর্মী ছিলেন। বিমানে ছিলেন ১২ জন ক্রু সদস্যও। বিমানটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে একটি মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ওপর। দুর্ঘটনায় মাত্র একজন বেঁচে গেছেন—বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই দুর্ঘটনায় (Plane crash)মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ২৬৫। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন। ইতিমধ্যে বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের কাজ চলছে এবং একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে যাতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়।