আরসিবি (RCB)-র আইপিএল (IPL) জয় উদযাপন করতে ব্যাঙ্গালুরুতে এক বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় (Bengaluru)। কিন্তু এই অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কর্ণাটক সরকারের তরফে এই অনুষ্ঠান ৩ জুন, সোমবার আয়োজন করা হলেও, ব্যাঙ্গালুরু (Bengaluru) পুলিশ চেয়েছিল অনুষ্ঠানটি রবিবার করা হোক, যাতে নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ভালোভাবে সামলানো যায়।
পুলিশের (Bengaluru) তরফে জানানো হয়, রবিবার কর্মদিবস না হওয়ায় শহরে যানজট কম থাকে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিকল্পনা করতেও সময় পাওয়া যায়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেই সুপারিশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
আরসিবি-র জয়ের পর ৩ ও ৪ জুন রাতভর ব্যাঙ্গালুরুর রাস্তায় জনতার ঢল নামে। পুলিশের হাজার হাজার কর্মী রাত ৪টা পর্যন্ত কাজ করেন জনসমাগম সামাল দিতে। ঠিক তার পরের দিন ভোরেই আবার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান! এই পরিস্থিতিকে “ক্লান্তিকর ও অসম্ভব চাপের” বলে অভিহিত করেন অনেক পুলিশ আধিকারিক।
সূত্র অনুযায়ী, পুলিশের সমস্ত সতর্কতা ও পরামর্শ সত্ত্বেও, সরকার অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি। অনুষ্ঠানে ৫,০০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বলেন, “এই অনুষ্ঠানের জন্য সরকার কোনো অনুরোধ করেনি। আমরা শুধু মনে করেছিলাম ব্যাঙ্গালুরুর দল হিসেবে সরকার উৎসবে অংশ নিক।” অর্থাৎ, তিনি পুরো দায় এড়িয়ে যান।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্র বলেন, “এত তাড়াহুড়ো করে অনুষ্ঠান করার দরকার কী ছিল? যদি অন্য কেউ আয়োজন করে থাকে, সরকার অনুমোদন কেন দিল? কয়েকদিন পরেও অনুষ্ঠান করা যেত।”
বিজেপি নেতা আর অশোক তীব্র ভাষায় বলেন, “সরকারকে এর দায় নিতে হবে। কয়েকদিন পরে অনুষ্ঠান করলে কী হতো? এটা ‘ব্র্যান্ড ব্যাঙ্গালুরু’ নয়, এটা ‘ব্যাঙ্গালুরুর মৃত্যুর ছবি’।”
সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা হলো, এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিশাল ভিড়ের চাপে ঘটে যায় পদদলনের ঘটনা। সেই ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং বহু মানুষ আহত হন।
বিজেপির দাবি, এই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে সরকার রাজনীতি ও প্রচারেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার নিজেই।