বাংলা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে ক্রমেই তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য-রাজনীতি (Bengali)। তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যকে “বাঙালি অস্মিতায় আঘাত” বলে উল্লেখ করে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে শুরু করতে চলেছে ‘বিজেপি বাংলা বিরোধী’ কর্মসূচি (Bengali)। এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর (Bengali) অভিযোগ, “বিজেপি বঙ্গবাসী এবং বঙ্গভাষি বিরোধী। এটা বাংলার অস্তিত্ব ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত।”
কুণাল ঘোষ হিমন্তের কথাকে তুলে ধরে প্রশ্ন তোলেন (Bengali), “মাতৃভাষা বাংলা লিখলেই বুঝবেন অসমে কত বিদেশি আছে? হিমন্তবাবু, এসব কী বলছেন?” তিনি আরও বলেন, “এটা একটা ভয়ঙ্কর মানসিকতা। যদি কেউ বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়, সেটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের ব্যর্থতা। হিমন্তের উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।”
তবে এবার পাল্টা জবাব দিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তিনি হিমন্তের মন্তব্যকে ‘ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে’ বলে দাবি করেন (Bengali)। তাঁর কথায়, “এই বক্তব্য বাঙালিদের অপমান নয়। বরং যাঁরা বাংলায় কথা বলেন না, অথচ পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ও এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, তাঁরাও বাঙালি। তৃণমূল আসলে বিদ্বেষের রাজনীতি করছে। এদিকে গুজরাতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা যেন ভালো থাকে সেটা নিয়ে ভাবছেন না, অথচ এখানে গুজরাতিদের আক্রমণ করছেন! দ্বিচারিতা নয় কি?”
এই বিতর্কে আরও একবার উঠে এসেছে দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম ব্রজবাসীর প্রসঙ্গ। সম্প্রতি এনআরসি-র নোটিস পেয়েছিলেন তিনি, যা নিয়ে বিরোধীরা প্রবল বিতর্ক তোলে। তৃণমূল তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করে। যদিও হিমন্তের দাবি, উত্তম অসমের বাসিন্দা বলেই তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। পরে বিজেপির তরফে তাঁকে জাতিগত শংসাপত্রও প্রদান করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল দাবি করছে, বিজেপি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনীতি করছে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, বিষয়টি নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তৃণমূল, শুধু রাজ্যবাসীর আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা চলছে।