মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi), যিনি বছরের পর বছর ধরে ‘কিন্নর’ রূপে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন ভারতীয় সমাজে। আসল নাম আব্দুল কালাম (Bangladeshi) হলেও, নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘নেহা কিন্নর’ নামে। তিনি ভুয়ো আধার কার্ড ও ভোটার আইডি ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতেন এবং সমাজের সঙ্গে মিশে যান অনায়াসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালাম মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেন (Bangladeshi)। প্রথমে কিছুদিন মহারাষ্ট্রে বসবাস করেন, তারপর ভোপালের মঙ্গলওয়ারা ও বুধওয়ারা এলাকায় দীর্ঘদিন ছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই নকল নথি বানিয়ে তিনি নিজের পরিচয় আড়াল করতে সফল হন ।
তালাইয়া থানার পুলিশ তাকে গত সপ্তাহে আটক করে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আগেই খবর পেয়েছিল যে ‘নেহা’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের নাগরিক এবং তিনি ভারতে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বসবাস করছেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের তথ্য সামনে এসেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালে এমপি নগর থানায় তার নামে একটি মামলা রুজু হয়েছিল।
ভোপালের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, শহরে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের শনাক্ত করতে ইতিমধ্যেই বিশেষ যাচাই অভিযান শুরু হয়েছে। যদিও এখনও ‘নেহা কিন্নর’ ওরফে আব্দুল কালামের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ জারি হয়নি, তবে তদন্ত শেষ হলেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পুলিশ সাধারণ নাগরিকদের (Bangladeshi) উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেছে—যদি কোথাও কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তি বা নকল নথিপত্র ব্যবহারকারী দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। শহরের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কাম্য।