প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের ওপর অমানসিক অত্যাচার হয়েছে (assam)। বার বার ভারতের জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে (assam)। কখনও পতাকা পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও পতাকায় পা দিয়ে অপমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিল আসাম (assam)। আসামের (assam) ব্যবসায়ীদের এবার ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে নামলেন। শ্রীভূমি জেলার (assam) প্রায় ৫০০ জন ব্যবসায়ী ঘোষণা করলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আর কোনও ব্যবসা করবেন না তাঁরা। বন্ধ রাখবেন আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য (assam)।
সোমবার সকালে শ্রীভূমি শহরের একটি স্থানে জমায়েত করেন ওই ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বেশ কিছু বাংলাদেশি পণ্য পুড়িয়ে নিজেদের প্রতিবাদ জানান। ওই বাংলাদেশি পণ্যগুলি অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রতিবাদীরা।
করিমগঞ্জ জেলা রফতানি-আমদানি কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে অমরেশ রায় জানান, পড়শি দেশ বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালানো হচ্ছে, তাঁরা এভাবেই সেইসব ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অমরেশ রায় বলেন, ‘ওঁরা কোনও কারণ ছাড়াই ভারতের নামে নোংরা কথা বলছেন। ভারতকে অভিযুক্ত করছেন। কিন্তু, সম্প্রতি আমরা দেখলাম, ওঁরা ভারতের জাতীয় পতাকার পর্যন্ত অমর্যাদা করলেন! এটা আমরা কিছুতেই সহ্য করব না। আমাদের কাছে দেশ সবার আগে। এবং আমরা এই ধরনের কোনও দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে চাই না।’
অমরেশ আরও জানিয়েছেন, শ্রীভূমিতে অসংখ্য ব্যবসায়ী সংগঠন রয়েছে। এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটি সেই সমস্ত সংগঠনের যৌথ প্রতিনিধিত্ব করে। তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে সমবেতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা স্থির করেছি, যত দিন পর্যন্ত না বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, আগের অবস্থায় ফিরছে, তত দিন আমরা ওদের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক লেনদেন করব না।’
প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তর-পূর্বাংশে সব মিলিয়ে মোট ১৩টি স্থলবন্দর এবং চারটি জলবন্দর রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য চালানো হয়। শ্রীভূমিতে অবস্থিত সুতরখান্ডি সেগুলির মধ্যে অন্যতম। এই ভৌগোলিক অঞ্চলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলি হল – মেঘালয়ের দাউকি এবং ত্রিপুরার আখাউরা।
উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে বাংলাদেশে মূলত যে পণ্যগুলি রফতানি করা হয়, সেগুলি হল – কয়লা, পাথর, চুনাপাথর, আদা, পেঁয়াজ, চাল, শুকনো লঙ্কা এবং বিভিন্ন ধরনের ফল।
পরিবর্তে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয় – কাঠের তৈরি আসবাব, বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি সামগ্রী, সিমেন্ট, জিআই শিট, ওয়েস্ট কটন, লোহার রড, মাছ, আচার, সফট ড্রিঙ্কস, বিস্কুট এবং কিছু অন্যান্য খাদ্য পণ্য।