বাহরিনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী চরিত্র তুলে ধরলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) প্রধান ও সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। ভারত সরকারের তরফে গঠিত একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বাহরিন সফরে গিয়ে তিনি (Asaduddin Owaisi) স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ মূলত পাকিস্তান থেকেই জন্ম নিচ্ছে। যতদিন না তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন, প্রশ্রয় ও মদত দেওয়া বন্ধ করছে, ততদিন এই সমস্যা চলতেই থাকবে।”
বিজেপি সাংসদ বৈজয়ন্ত পাণ্ডার নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন নিশিকান্ত দুবে, ফাঙনন কনিয়াক, রেখা শর্মা, গুলাম নবি আজাদ, সত্যনাম সিংহ সান্ধু, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) এবং প্রাক্তন কূটনীতিক হর্ষ শ্রিংলা। উদ্দেশ্য ছিল—পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার প্রেক্ষিতে ভারতের অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা।
ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) বলেন, “আমাদের এখানে পাঠানো হয়েছে বিশ্ববাসীকে বোঝাতে, গত বহু বছর ধরে ভারত কীভাবে পাকিস্তানঘেঁষা সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে চলেছে।” তিনি জানান, ভারত সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এবং পরবর্তী বার পাকিস্তান যদি আবারও ‘ভুল’ করে, তার জবাব হবে “প্রত্যাশার অনেক বাইরে”।
তিনি পাহেলগাঁও হামলার মানবিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “একজন নারী, যিনি মাত্র ছয় দিন আগে বিয়ে করেছিলেন, সপ্তম দিনেই হয়ে গেলেন বিধবা। আরেকজন, যিনি দুই মাস আগে বিয়ে করেছিলেন, হারালেন স্বামীকে। এই রকম শত-সহস্র হৃদয়বিদারক ঘটনার দায় পাকিস্তানের ঘাড়ে।”
ওয়েইসি জানান, ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তি এবং যুদ্ধকৌশল আন্তর্জাতিক স্তরে নজর কেড়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের আছে প্রয়োজনীয় সমস্ত রসদ—দেশি অস্ত্র, প্রযুক্তি ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। পাকিস্তানের তরফে যত কিছু ছোঁড়া হয়েছে, সবকিছুই ভারত সফলভাবে আটকাতে পেরেছে।”
আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে বলেন, “আমি বাহরিন সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, পাকিস্তানকে আবার FATF-এর গ্রে লিস্টে ফেরানোর বিষয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ান। কারণ এই কালো টাকাই সন্ত্রাসে যাচ্ছে।”
ওয়েইসি স্পষ্ট করে দেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও, ভারতের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশ ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, “এটা কোনও দলের কথা নয়, এটা দেশের প্রশ্ন। যখন নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের কথা আসে, তখন সমস্ত রাজনৈতিক দল একত্রিত।”