Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • তৃতীয় শ্রেণি থেকেই ‘রোবট ক্লাস’! দেশে এআই পড়ানো শুরু, তৈরি হচ্ছে নতুন যুগের ভারত
দেশ

তৃতীয় শ্রেণি থেকেই ‘রোবট ক্লাস’! দেশে এআই পড়ানো শুরু, তৈরি হচ্ছে নতুন যুগের ভারত

Artificial intelligence
Email :3

দেশে নতুন কর্মসংস্থানের দিগন্ত খুলে দিতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (Artificial intelligence)। নীতি আয়োগের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে অন্তত ৪০ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি হবে এই প্রযুক্তির দৌলতে। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে দেশের আগামী প্রজন্মকে তৈরি করতে বড়সড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক (Artificial intelligence)। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২০২৬-’২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের স্কুলে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই পড়ানো হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

শনিবার নীতি আয়োগের সিইও বি. ভি. আর. সুব্রহ্মণ্যম “এআই অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান তৈরির রূপরেখা” শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করেন (Artificial intelligence)। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এআই শুধু প্রযুক্তি নয়, বরং আগামী দিনের কর্মক্ষেত্র, কাজের ধরন, এমনকি শ্রমবাজারের চরিত্রই বদলে দেবে। ভারত এখন এমন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে, যেখানে সাহসী ও পরিকল্পিত পদক্ষেপ না নিলে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। তাই “জাতীয় এআই ট্যালেন্ট মিশন” চালুর প্রস্তাব দিয়েছে নীতি আয়োগ, যাতে ভারতের যুবসমাজকে শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েরও যোগ্য প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

এই লক্ষ্যেই একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই পড়ুয়াদের এআই শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র (Artificial intelligence)। শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “আগামী দিনে মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাই ভারতকে এই দৌড়ে এগিয়ে রাখতে আমরা চাই ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা এআই সম্পর্কে ধারণা লাভ করুক।”

যদিও শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে এখনও দেড় বছরের মতো সময় বাকি, ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় স্তরে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক (Artificial intelligence)। কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা সচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, “এটা আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। আগামী দু’-তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রায় এক কোটি শিক্ষককে এআই-ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও যাতে এই প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন, সেই কাজ এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।”

শুধু এআই নয়, শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের পথেও জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। জানা গেছে, দেশজুড়ে স্কুলগুলিতে এখন থেকে বেতন দেওয়া হবে সম্পূর্ণ ইউপিআই নির্ভর ডিজিটাল ব্যবস্থায়।

নীতি আয়োগের এই রিপোর্টে যেমন আগামী দিনের চাকরির বাজারে আশার আলো দেখানো হয়েছে, তেমনি প্রশ্নও উঠছে— ভারত কি প্রস্তুত এই প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য? আগামী কয়েক বছরেই মিলবে তার উত্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts