দুপুর ৪:৩০টার দিকে দিবারঘরের পথে চলতে থাকা ট্রেনের S4 কম্পার্টমেন্টে শিশুটি হঠাৎ শ্বাসকষ্টে পড়ে এবং অচেতন হয়ে যায়। শিশুর মা ভয়ঙ্করভাবে চেঁচিয়ে ওঠেন, মনে করেন তার সন্তান মারা গেছে। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে (Army man) ।
তবে সেই সময় কোচে থাকা সুনিল (Army man) দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। শিশুর পালস বা শ্বাস নেই দেখে তিনি (Army man) অবিলম্বে তাকে সমতল স্থানে রাখেন এবং পেডিয়াট্রিক কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) শুরু করেন। দুই আঙ্গুল ব্যবহার করে বুক চাপা এবং মাউথ-টু-মাউথ রিসাসিটেশনের মাধ্যমে শিশুটি জীবনের চিহ্ন দেখাতে শুরু করে।
সুনিল পরে ট্রেনের স্টাফ এবং রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে শিশুটিকে রঙ্গিয়ার স্টেশনে দ্রুত চিকিৎসার জন্য পাঠান। যেখানে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা সহায়তা পাওয়া যাচ্ছিল না, সেখানে তার পেশাদার ও সাহসী পদক্ষেপ এক প্রাণ রক্ষা করেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে সুনিল দেখিয়েছেন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, শান্ত চেতনায় কাজ করার দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতার মানে কী। তার তৎপরতা শিশুটিকে প্রাণদায়ী করে তুলেছে এবং যাত্রীদেরও স্বস্তি দিয়েছে।