রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির (Anil Ambani) সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে বড়সড় তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিন হাজার কোটিরও বেশি টাকার একটি ব্যাঙ্ক ঋণ জালিয়াতি ও আর্থিক তছরুপের মামলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মুম্বই ও দিল্লি-সহ দেশের অন্তত ৩৫টি স্থানে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, অনিল অম্বানির (Anil Ambani) রিলায়েন্স গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত RAAGA নামের কয়েকটি সংস্থা, এবং ইয়েস ব্যাঙ্ককে কেন্দ্র করেই এই আর্থিক দুর্নীতির ছায়া ঘনিয়েছে। ইডির এই অভিযান মূলত শুরু হয়েছে সিবিআই-এর দুই এফআইআর (RC2242022A0002 ও RC2242022A0003)-এর ভিত্তিতে, যেখানে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, ঘুষ লেনদেন এবং সরকারি সংস্থাকে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে (Anil Ambani)।
ইতিমধ্যেই ইডির তদন্তকারীরা প্রায় ২৫ জন আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন (Anil Ambani)। জানা গিয়েছে, মোট ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে নথি, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও মোবাইল ডেটা সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তাই নয়, এই তদন্তে জাতীয় আবাসন ব্যাঙ্ক (National Housing Bank), সেবি (SEBI), ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথরিটি (NFRA), ও ব্যাঙ্ক অফ বরোদা-র মতো সংস্থাও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
ইডির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য—২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ রিলায়েন্স গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থাকে বিপুল অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে। এই ঋণের আগে ব্যাঙ্কের প্রোমোটারদের অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা ঢোকে, যা সম্ভবত ঘুষ বলে সন্দেহ করছে ইডি। সেই সূত্র ধরেই এখন বিশাল আর্থিক দুর্নীতির জাল উন্মোচনের পথে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ইডি এই মুহূর্তে পুরো বিষয়টি মুদ্রা পাচার আইন (Prevention of Money Laundering Act, PMLA)-এর অধীনে তদন্ত করছে।