Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • মন্দিরের উঠোনে সারি সারি দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়ল অন্ধ্র
দেশ

মন্দিরের উঠোনে সারি সারি দেহ, কান্নায় ভেঙে পড়ল অন্ধ্র

stampede aa
Email :2

অন্ধ্র প্রদেশের মন্দিরে ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনা (Andhra Temple Stampede)। একাদশীর সকালে পুজো দিতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জন ভক্তের। আহতও হয়েছেন আরও অনেকেই। শনিবার সকালে শ্রীকাকুলাম জেলার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে (Andhra Temple Stampede)। একাদশী উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তের ভিড় জমেছিল মন্দির চত্বরে। ভিড়ের চাপে হুড়োহুড়ি, তার মধ্যেই আচমকা শুরু আতঙ্ক, আর তাতেই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Andhra Temple Stampede)।

দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে নেমে পড়ে প্রশাসন (Andhra Temple Stampede)। উদ্ধারকাজ শুরু হয় যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। যে ভিডিয়োগুলি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের উঠোনে নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। বহু মানুষ মাটিতে লুটিয়ে আছেন রক্তাক্ত অবস্থায়। আতঙ্কিত পরিজন এবং ভক্তদের আর্তনাদে ভরে ওঠে গোটা এলাকা (Andhra Temple Stampede)। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাসপাতালেও বাড়তি চিকিৎসক, নার্স ও অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, “একাদশীর ভিড়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা। দ্রুত উদ্ধার ও চিকিৎসাই এখন অগ্রাধিকার।” মুখ্যমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, পুলিশ ও রেসকিউ টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী কে অচ্চননাইডু নিজে মন্দিরে যাচ্ছেন উদ্ধারকাজের তদারকি করতে এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে।

মাসখানেক আগেই তামিলনাড়ুর কন্নুরে অভিনেতা-রাজনীতিক বিজয়ের জনসভায় একইভাবে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৪০ জনের। ফের একই ছবি দক্ষিণ ভারতে—ভিড়ের চাপে প্রাণ হারালেন নিরীহ মানুষ। উৎসবের আনন্দ মুহূর্তেই বদলে গেল শোকের আবহে। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে কীভাবে এমন নিরাপত্তা ত্রুটি ঘটল এবং কেন আগেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পরিজনদের কান্নায় ভেঙে পড়েছে শ্রীকাকুলাম। ধর্মস্থানে পুজো দিতে গিয়ে এমন মৃত্যু—অন্ধ্রবাসী ভুলতে পারবে না খুব সহজে। রাজ্য সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক মৃত ও আহতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হবে শিগগিরই। আপাতত প্রশ্ন একটাই—সংগঠনের ব্যর্থতাই কি কেড়ে নিল এতগুলি নিরীহ প্রাণ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts