দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী (Delhi Blast)। সোমবার সন্ধ্যায় রেড ফোর্টের মেট্রোর কাছে পরপর দুটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত আটজনের। আহত বহু। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা এলাকা (Delhi Blast)। ঘটনাস্থলে মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশ, দমকল ও এনএসজি। প্রাথমিক অনুমান, বিস্ফোরণটি অত্যন্ত শক্তিশালী বোমার মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে (Delhi Blast)।
বিস্ফোরণের খবর পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Delhi Blast)। তিনি দ্রুত যোগাযোগ করেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার সতীশ গোলচা ও গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) প্রধান তপন দেকার সঙ্গে। শাহের নির্দেশে এনআইএ, এনএসজি, ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (FSL) এবং দিল্লি পুলিশ একসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এনআইএ-র বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেছে।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, “সব ধরনের সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও কোণই বাদ দেওয়া হবে না।” তাঁর নির্দেশে আশপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণের প্রকৃতি এবং ব্যবহৃত বিস্ফোরকের ধরন জানতে ফরেনসিক টিমের রিপোর্টের অপেক্ষায় প্রশাসন (Delhi Blast)।
বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে রাতে হাসপাতালে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দেন। হাসপাতালে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কোনও ভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না। তদন্তের পরই সামনে আসবে সত্য।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিস্থিতির রিপোর্ট চান। পরে এক্স হ্যান্ডেলে মোদী লেখেন, “দিল্লির বিস্ফোরণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।”
এদিকে, বিস্ফোরণের পরই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ। লালকেল্লা, চাঁদনি চক, জামা মসজিদ থেকে শুরু করে মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। গোটা এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসাবশেষ, গাড়ির ধাতব অংশ, এবং বারুদের গন্ধযুক্ত নমুনা সংগ্রহ করেছে।
বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কোনও জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কি না, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কয়েক দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল, তার সঙ্গে এই বিস্ফোরণের যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তদন্তে যুক্ত এক আধিকারিকের দাবি, “এটি পরিকল্পিত হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিস্ফোরণটি রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমেও ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।” তবে প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করেনি।
দিল্লির রাস্তায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। নাগরিকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেছে দিল্লি পুলিশ। রাজধানীর সব মেট্রো স্টেশন, বাজার, এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গোটা দেশেই হাই অ্যালার্ট জারি।
দেশজুড়ে যখন প্রশ্ন উঠছে—“এত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও কীভাবে সম্ভব হলো এই বিস্ফোরণ?”, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তৎপরতা এবং তদন্ত সংস্থার কাজ এখন আলোচনার কেন্দ্রে।












