কাশ্মীরের বাঘা বাঘা লস্কর-ই-তইবার তিন জঙ্গির বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা—অপারেশন ‘মহাদেব’-এ তাঁদের খতম করল সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। এই তিনজনই এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওয়ে বৈসারন উপত্যকায় ভয়াবহ হামলার মূল চক্রী ছিলেন। মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়ে একথা স্পষ্ট ঘোষণা করলেন দেশের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।
অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “বৈসারন উপত্যকায় নিরীহ মানুষদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে, তাঁদের পরিবারগুলোর সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে আমাদের বাহিনী অপারেশন মহাদেব চালিয়ে তিন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) আরও জানান, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে ছিল লস্করের শীর্ষ কমান্ডার সুলাইমান শাহ, আফগান বংশোদ্ভূত এক জঙ্গি এবং জিবরান নামক আরও একজন। এঁদেরই অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন সেই ব্যক্তিরা, যারা তাঁদের গোপনে আশ্রয় দিয়েছিল হামলার পরে।
এপ্রিলের ২২ তারিখের ভয়াবহ হামলার তদন্তে গতি এনে, এনআইএ (NIA) গত মাসে গ্রেফতার করেছিল দুই স্থানীয় বাসিন্দা — পারভেজ আহমদ জোথার ও বশির আহমদকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই তিন জঙ্গিকে আশ্রয় ও সাহায্য করেছিলেন তাঁরা।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, “জঙ্গিদের খাবার সরবরাহ করত যারা, তাদের আগেই আমাদের বাহিনী হেফাজতে নিয়েছিল। সেই আটক ব্যক্তিরাই পরে মরদেহ দেখে সুলাইমান শাহ, আফগান ও জিবরানকে শনাক্ত করেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই অপারেশন ছিল এক নিখুঁত প্রতিশোধ—শুধু জঙ্গিদের খতম নয়, জঙ্গি মদতদাতাদের চিহ্নিত করেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”