Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • দেশ
  • বিচারপতির ঘরে পুড়ে যাওয়া কোটি টাকা! এবার সংসদে মহাভিযোগ—সব দল একসঙ্গে
দেশ

বিচারপতির ঘরে পুড়ে যাওয়া কোটি টাকা! এবার সংসদে মহাভিযোগ—সব দল একসঙ্গে

justice verma
Email :1

ন্যায়ব্যবস্থার স্বচ্ছতা রক্ষায় বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় সংসদ। বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Varma) বিরুদ্ধে মহাভিযোগ (ইমপিচমেন্ট) আনতে সমস্ত রাজনৈতিক দল একজোট হয়েছে বলে জানালেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। burnt অর্থাৎ পুড়ে যাওয়া বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বিচারপতির লুটিয়েনস দিল্লির বাড়ি থেকে উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সরানো হতে পারে বিচারপতি বর্মাকে (Justice Varma)।

শুক্রবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কিরেন রিজিজু জানান, “আমি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এমনকি যেসব দলের একজন মাত্র সাংসদ আছেন, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করব, যাতে কেউ বাদ না পড়ে। এটি ভারতের সংসদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান হয়ে উঠুক (Justice Varma)।”

মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, এটি কোনও সরকারি উদ্যোগ নয়—এই প্রস্তাব সংসদের সদস্যদের তরফ থেকেই এসেছে, যাঁরা দলের ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি কংগ্রেসও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে (Justice Varma)।

রিজিজুর কথায়, “ন্যায়ব্যবস্থায় যদি দুর্নীতি ঢুকে পড়ে, তবে মানুষ বিচার পাওয়ার ভরসাও হারাবে। তাই বিচারপতি বর্মার অপসারণের প্রস্তাবে সমস্ত রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর প্রয়োজন।”

তিনি বলেন, “আমি খুশি কংগ্রেস এই ইস্যুতে সঠিক (Justice Varma) দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দলই একটি দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতির পাশে থাকতে পারে না। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার—এটা রাজনীতির বিষয় নয়, নৈতিকতার প্রশ্ন।”

সংবিধান অনুযায়ী, কোনও বিচারপতির (Justice Varma) অপসারণ করতে হলে লোকসভায় কমপক্ষে ১০০ জন এবং রাজ্যসভায় অন্তত ৫০ জন সাংসদের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। এরপর সংসদের সভাপতির কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয় এবং বিচারপতিদের তদন্ত আইন অনুযায়ী তিন মাসব্যাপী তদন্ত শুরু হয়। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী উভয় কক্ষে আলোচনা এবং ভোটাভুটি হয়।

এই প্রক্রিয়ার সূত্রপাত ঘটেছে সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়, যা গত মার্চ মাসে বিচারপতি বর্মার দিল্লির বাসভবনে ঘটেছিল। সেই আগুনে তাঁর বাড়ির একটি ঘরে পাওয়া যায় বস্তাবন্দি পুড়ে যাওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা। তদন্তে উঠে আসে, বিচারপতি ও তাঁর পরিবারের সক্রিয় বা গোপন নিয়ন্ত্রণ ছিল সেই ঘরের উপর।

এরপর বিচারপতি বর্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠানো হয়, কিন্তু তাঁর কাছে আর কোনও বিচারিক দায়িত্ব অর্পণ করা হয়নি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার নেতৃত্বে গঠিত ইন-হাউস তদন্ত প্যানেল সিদ্ধান্ত নেয় যে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে অপসারণই একমাত্র পথ।

যদিও বিচারপতি বর্মা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন তাঁর বিপক্ষে সাক্ষ্য দেয়।

সাবেক আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বলের মন্তব্য প্রসঙ্গে, যিনি বিচারপতি বর্মাকে বিচারপতি শেখর যাদবের সঙ্গে তুলনা করেন, কিরেন রিজিজু কড়া ভাষায় বলেন, “আমরা এক জন আইনজীবী-সাংসদের এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করি না। আমরা দেশ এবং সংবিধানের স্বার্থে কাজ করি।”

রিজিজু আরও বলেন, “সিব্বল নিজে একজন গড়পড়তা আইনজীবী। তাঁর মতো কেউ সংসদকে পথ দেখাতে পারে না। সংসদ নিজেই নিজের পথ নির্ধারণ করে।” তিনি জানান, আজকের অনেক সাংসদ সিব্বলের থেকেও আইনজ্ঞান ও বোধে অনেক এগিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts