অপারেশন সিঁদুরকে ঘিরে বিশ্বমাধ্যমে যখন ‘কল্যাটারাল ড্যামেজ’-এর গুঞ্জন, তখন দৃপ্ত কণ্ঠে দেশকে গর্বিত করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। আইআইটি মাদ্রাজের ৬২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন—ভারতের এই অভিযান ছিল নিখুঁত, সুনির্দিষ্ট এবং পরিকল্পিত, যেখানে দেশের একটিও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ডোভালের (Ajit Doval) স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ—“একটা ছবি দেখান, যেখানে ভারতের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি একটা কাচও যদি ভাঙে, সেটাও দেখান!” তিনি বলেন, “২৩ মিনিটের অভিযানে আমরা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে, সীমান্ত থেকে অনেকটা দূরে ৯টি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছি। কোথাও ভুল করিনি, লক্ষ্যভ্রষ্ট হইনি।”
তিনি (Ajit Doval) আরও জানান, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছিল সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি। সঠিক পরিকল্পনায় পাকিস্তানের সর্গোধা, রহিম ইয়ার খান, চকলালা সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ছিল নজরে। “আমরা যা করেছি, তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল হিসেব করে নেওয়া,” বলেন ডোভাল (Ajit Doval)।
অপারেশন সিঁদুর শুরু হয় ৭ মে, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর। সেই হামলার জবাবেই ভারত বেছে নেয় এক ঐতিহাসিক প্রতিশোধ। বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার প্রধান ঘাঁটি সহ মোট ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে একযোগে আঘাত হানে ভারতীয় বায়ুসেনা।
এই অভিযানের পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান চালায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কিন্তু ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একটিও লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে দেয়নি। এর পর ভারত এক ধাপে আঘাত হানে ১১টি পাক বিমানঘাঁটিতে, যা সাম্প্রতিক কালের অন্যতম বড় সীমান্তপারে প্রতিরক্ষা অভিযান বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
ডোভাল স্পষ্ট করে দেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ বহু বিদেশি সংবাদমাধ্যম যে ধরনের ছবি বা দাবি করছে, সেগুলোর কোনও ভিত্তি নেই। “ওরা নিজেরাই যে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে পাকিস্তানের ঘাঁটি ধ্বংসের ছবি আছে। কিন্তু ভারতের দিকে কোনো ক্ষতির প্রমাণ নেই,” বলেন তিনি।