Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Air Marshal AK Bharti: অপারেশন সিঁদুরের নায়ক, আপনি কি জানেন আকাশের বীর সন্তান আওধেশ কুমার ভারতির স্ত্রী কাশ্মীরি
দেশ

Air Marshal AK Bharti: অপারেশন সিঁদুরের নায়ক, আপনি কি জানেন আকাশের বীর সন্তান আওধেশ কুমার ভারতির স্ত্রী কাশ্মীরি

Email :4

রবিবার, যুদ্ধবিরতির একদিন পর সশস্ত্র বাহিনীর যে ব্রিফিং হয়, সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট কণ্ঠস্বর ছিল এয়ার মার্শাল আওধেশ কুমার ভারতির (Air Marshal AK Bharti)। বিহারের পুরনিয়া জেলার ঝুন্নি কালা গ্রামের নিজের কুঁড়েঘরে বসে গর্বে বুক ফুলিয়ে তাঁর (Air Marshal AK Bharti) বাবা-মা সেই দিনগুলোর কথা মনে করলেন—যখন তাঁদের মেধাবী ছেলে (Air Marshal AK Bharti) ছোটবেলা থেকেই বলত, “আমি একদিন ফৌজে যোগ দেব।” সেই স্বপ্নপথে হেঁটে একদিন তিনি (Air Marshal AK Bharti) দেশের অন্যতম বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে—অপারেশন সিঁদুরে—গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন।

এক সেচ দফতরের কেরানি ও একজন গৃহিণীর সন্তান, আওধেশ (Air Marshal AK Bharti) পড়াশোনায় সবসময়ই ভালো ছিলেন। সেই কৃতিত্ব তাঁকে (Air Marshal AK Bharti) নিয়ে যায় টিলাইয়া সাইনিক স্কুলে (বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে), এরপর ভর্তি হন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে (NDA), পুনে। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর স্বপ্ন পূরণের বাস্তব যাত্রা।

“ছোটবেলায় যেমন ছিল, এখনও তেমনই সোজাসাপ্টা। তখন থেকেই বলত সে ফৌজে যাবে—শেষমেশ সেটা করেই দেখিয়েছে,” বলেন গর্বিত মা উর্মিলা দেবী। ১৯৮৭ সালে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার স্ট্রিমে যোগ দেন। ২০০৮ সালে রাষ্ট্রপতির বায়ুসেনা মেডেল পান এবং ২০২৩ সালে এয়ার মার্শাল পদে উন্নীত হন। তিনি সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনের কম্যান্ডিং অফিসার ছিলেন, আর বর্তমানে এয়ার অপারেশনস-এর ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বে আছেন। এর আগে প্রয়াগরাজে সেন্ট্রাল এয়ার কমান্ডে সিনিয়র স্টাফ অফিসার ছিলেন। গ্রামবাসীরা জানান, আওধেশ কুমার ভারতি(Air Marshal AK Bharti) প্রায় এক বছর আগে গ্রামে এসেছিলেন এবং আগের মতোই সবার সঙ্গে মিশেছেন।

 

গ্রামের বাসিন্দা অনিল শর্মা বলেন, “তাঁর মা-বাবার মতোই তিনি বিনম্র। কোনো অহংকার নেই। নিরাপত্তার জটিলতা নেই, সোজাসুজি এসে সবার সঙ্গে কথা বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠদের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন। গ্রামের একজন মানুষও তাঁর সম্পর্কে মন্দ বলবে না। তাঁর এই সরলতা তাঁর সন্তানদের মধ্যেও দেখা যায়। অপারেশন সিঁদুরে তাঁর সাহসিকতা দেখে আমরা খুব গর্বিত। পাকিস্তান এখন জানে ঝুন্নি কালার এক সন্তান কী করে দেশের গর্ব বাড়িয়েছে। তাঁর জন্যই ঝুন্নি কালার নাম এখন সারা দেশে আলোচিত।”

এয়ার মার্শালের বাবা জিভাচ লাল যাদব বলেন, “ও যখন এখানে এসেছিল, তখনো আমাদের কিছু বলেনি। আমাদের কাছে কোনো গোপন তথ্য শেয়ার করে না। কেবল জানি যে সে দেশের জন্য কাজ করে। এখন পত্রপত্রিকায় নাম দেখে জানতে পারছি সে কী করেছে। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে ওর ভূমিকা ছিল—এই কথা ভাবতেই বুক গর্বে ভরে যায়।”

গর্বিত মা উর্মিলা দেবী বলেন, “আমার ছেলে একজন দেশভক্ত। সে যা করছে, দেশের জন্য করছে। ও শুধু নিজের পরিবারের নয়, ঝুন্নি কালা, পুরনিয়া—এবং গোটা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ওর বউ কাশ্মীরের মেয়ে। আমার আর কিছু বলার নেই—আজ দেশ জানে, কার ছেলে, কার নাতি দেশের গর্ব বাড়িয়েছে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts