AI 171 ফ্লাইটের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনায় গোটা দেশ যখন শোকস্তব্ধ, তখন ফের আরও এক আতঙ্ক ছড়াল এয়ার ইন্ডিয়া বিমানে (Air India)। জানা গিয়েছে, ১২ জুন আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট, যাতে ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই ঘটনার ঠিক ৪০ ঘণ্টা পর, ১৪ জুন ফের আরেকটি এয়ার ইন্ডিয়া বিমান মাঝ আকাশে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ে (Air India)।
এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) AI 187, যেটি দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ভিয়েনা যাচ্ছিল, সেটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় ৯০০ ফুট নিচে নেমে আসে! ঘটনাটি ঘটেছিল ভোররাতে, যখন দিল্লির আকাশে তীব্র ঝড় ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট অনুযায়ী (Air India), ওই দিন রাত ২টা ৫৬ মিনিটে দিল্লি থেকে উড়েছিল বিমানটি। কিন্তু উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রবল ঝড় ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিমানের উচ্চতা হঠাৎ করেই ভয়ংকরভাবে কমে আসে। এই আকস্মিক পতনে যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলান পাইলট, যার ফলে এক মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান শতাধিক যাত্রী। শেষ পর্যন্ত বিমানটি নিরাপদেই ভিয়েনায় অবতরণ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ (DGCA)। বিমানের ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করে বিশ্লেষণ শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর পাশাপাশি, পুরো তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পাইলটদের বিমান চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, “পাইলটের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি DGCA-কে জানানো হয়। পরে বিমানের রেকর্ডার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও তদন্ত শুরু হয়েছে। পাইলটদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডিউটি থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে।”
এই ভয়ানক ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে। একের পর এক বিপর্যয় কি দেশের আকাশপথকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে? উঠছে একের পর এক প্রশ্ন।