Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ২৮০ জনের প্রাণহানির পর ছড়াল মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট! কী বলছে সরকার? জানলে অবাক হবেন!
দেশ

২৮০ জনের প্রাণহানির পর ছড়াল মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট! কী বলছে সরকার? জানলে অবাক হবেন!

শেষ মুহূর্তের ভিডিও কাঁদাচ্ছে দেশ!
Email :2

সম্প্রতি একটি ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেখানে দাবি করা হয়েছে এটি এয়ার ইন্ডিয়া-১৭১ বিমানের দুর্ঘটনা (Plane Crash) নিয়ে বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর (AAIB) প্রাথমিক রিপোর্ট। তবে বৃহস্পতিবার সেই দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিল ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে থাকা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB)।

পিআইবি ফ্যাক্ট চেক বিভাগ টুইট করে জানিয়েছে, “হোয়াটসঅ্যাপে যে বার্তা ঘুরছে, সেটিকে এআই-১৭১ দুর্ঘটনার (Plane Crash) প্রাথমিক রিপোর্ট বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই ধরনের কোনো রিপোর্ট এএআইবি প্রকাশ করেনি। সঠিক তথ্য জানতে সরকারি সূত্রেই ভরসা রাখুন।”

ভুয়ো রিপোর্টে কী দাবি করা হয়েছিল?

ভুয়ো রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের মুহূর্তে ক্যাপ্টেনের সিট পিছিয়ে যায়, কারণ সিট ট্র্যাকের AFT লকিং মেকানিজম কাজ করেনি (Plane Crash)। এই সময় ক্যাপ্টেনের শরীর পিছনের দিকে চলে গেলে, তাঁর ওজন থ্রাস্ট লিভারগুলিকে আইডল অবস্থায় ঠেলে দেয় এবং ইঞ্জিনের শক্তি আচমকাই কমে যায়। সহ-পাইলট সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন, কারণ ক্যাপ্টেনের শরীরের ওজন লিভারগুলিকে বাধা দিচ্ছিল—এই মর্মে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হয় (Plane Crash)।

উল্লেখ্য, ১২ জুনের এই দুর্ঘটনায় মোট ২৪১ জন যাত্রী প্রাণ হারান। ঘটনাটির তদন্ত করছে এএআইবি, যাদের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO)-কে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হয়। যদিও তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক নয়। এর আগে ২০২০ সালে ক্যালিকট বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেও ভারত সরকার প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।

তবে যেহেতু এই প্রথম কোনও বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, তাই গোটা বিশ্বের এভিয়েশন মহল এই তদন্তের দিকে নজর রেখেছে।

এএআইবি চাইলে এই রিপোর্ট বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককেও পাঠাতে পারে। তদন্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করে ICAO-এর Annex 13 অনুযায়ী, যেই দেশে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই দেশকেই রিপোর্টটি ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয়।

এই পরিস্থিতিতে সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এখনো পর্যন্ত এআই-১৭১ দুর্ঘটনার কোনো রিপোর্ট প্রকাশ পায়নি এবং যে রিপোর্ট ভাইরাল হচ্ছে, তা নিছকই মিথ্যে এবং গুজব। জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts