এক অভ্যন্তরীণ সরকারি স্মারকের সূত্রে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (Air India) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ তুলল ডিজিসিএ (DGCA)। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এয়ারবাস A320 বিমানের ইঞ্জিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্রাংশ বদলানো বাধ্যতামূলক হলেও, তা সঠিক সময়ের মধ্যে না করে নথিতে ‘ভুয়ো সংশোধন’ করে নিয়মানুবর্তিতা দেখানোর চেষ্টা চালিয়েছে সংস্থাটি— এমনটাই উঠে এসেছে ভারতীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারিতে (Air India)।
মার্চ মাসে একটি গোপন মেমোতে ডিজিসিএ উল্লেখ করে, নজরদারির সময় ধরা পড়ে একটি এয়ারবাস A320 বিমানে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বদলানো হয়নি। তার বদলে, ‘AMOS’ নামক একটি সফটওয়্যারে (Aircraft Maintenance and Engineering Operating System) রেকর্ড জাল করে দেখানোর চেষ্টা হয় যে সেই কাজ সঠিক সময়েই সম্পন্ন হয়েছে (Air India)।
ঘটনার পর, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস রিটার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছে যে তাদের প্রযুক্তিগত টিম নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যন্ত্রাংশ বদলের বিষয়টি মিস করেছিল। সংস্থার দাবি, তাদের পর্যবেক্ষণ সফটওয়্যারের রেকর্ড মাইগ্রেশনের সময় এই ত্রুটি ঘটে। যদিও ভুল চিহ্নিত হওয়ার পর দ্রুত সংশোধন করা হয় বলে দাবি করেছে তারা।
তবে, DGCA-র মেমোতে যেভাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে রেকর্ড জাল বা পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেই গুরুতর অভিযোগের জবাবে সরাসরি কিছু বলেনি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।
তবে তারা জানিয়েছে, মার্চ মাসে ওই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর একাধিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কোয়ালিটি ম্যানেজারকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং ডেপুটি কন্টিনিউয়িং এয়ারওয়ার্থিনেস ম্যানেজারকে সাসপেন্ড করা।
এয়ার সেফটি নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে নজরদারি আরও কড়া হচ্ছে, তখন এই ধরনের অনিয়ম যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে, যদি নথি জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে DGCA— এমনটাই মনে করছেন বিমান শিল্পের বিশেষজ্ঞরা।