ইরানের আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একাধিক এয়ার ইন্ডিয়া-র (Air India) বিমানকে মাঝ আকাশে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে বা ফিরে আসতে হয়েছে নিজ নিজ গন্তব্যে—শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। যাত্রীদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থা (Air India)। পাশাপাশি, যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা সহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে সমস্যা কমানোর জন্য, জানানো হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।
এই ঘটনায় যাত্রীদের (Air India) মধ্যে স্বভাবতই উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ইজরায়েল সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু কেন্দ্র, ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির কারখানা ও সামরিক সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। ইরানের নাতানজ পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। ইজরায়েল এই হামলাকে বলেছে “দীর্ঘমেয়াদি অভিযান” যার লক্ষ্য তেহরানকে পরমাণু বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখা।
ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি এই হামলায় নিহত হয়েছেন। তেহরানে গার্ড বাহিনীর সদর দপ্তরেও আঘাত হেনেছে। একটি আবাসিক এলাকায় হামলায় কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, “এটি ইজরায়েলের ইতিহাসের এক গুরত্বপূর্ণ মুহূর্ত।”

এই রণক্ষেত্রের আবহে বৃহস্পতিবার ঘটে যায় এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Air India)। এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাত্র একজন বেঁচে আছেন, যিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
AI 171 নম্বর বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ান তোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের মেঘানিনগর এলাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের ওপর ভেঙে পড়ে। বিমানে ছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি সহ আরও অনেকে।
পরবর্তী তথ্য অনুযায়ী, বিমানে ১৬৮ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ ও ১ জন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন।