আকাশে উড়োজাহাজ, আর সেই মাঝপথেই হঠাৎ শরীর খারাপ। অভিযোগ, বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু হল ৭০ বছরের এক যাত্রীর (Air India)। কানাডার ভ্যানকুভার থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতামুখী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। মৃতের নাম দিলবীর সিং, তাঁর বাড়ি দিল্লিতে। বিমান কলকাতার আকাশে নামার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিমানবন্দরে রাত সওয়া ন’টা নাগাদ তাঁকে নেমে যেতে হয় (Air India)। এরপর সোজা তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চারনক হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, ততক্ষণে সব শেষ। খবর পৌঁছয় তাঁর পরিবারেও। নিয়ম মেনে দেহ পাঠানো হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে, পোস্টমর্টেমের জন্য (Air India)।
অন্য যাত্রীরা নিজেদের যাত্রা চালিয়ে গেলেও ককপিটে চাপা উত্তেজনা থামছিল না। সাম্প্রতিক কালে এয়ার ইন্ডিয়ার বিভিন্ন ফ্লাইটে একের পর এক মেডিক্যাল জরুরি অবস্থার খবর উঠে এসেছে। আগস্ট ২০২৫–এ নিউ দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরুগামী একটি ফ্লাইটে (Air India) মাঝ আকাশে নাকে ভয়াবহ রক্তপাত শুরু হয় এক মহিলার। প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানজুড়ে। পাইলট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিমানকে গন্তব্যে আনার সময় ১৬ মিনিট এগিয়ে আনেন। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামতেই চিকিৎসক উঠে পড়েন বিমানে এবং ওই যাত্রীকে সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ঠিক এমনই আরেকটি ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বেঙ্গালুরু–গুয়াহাটি ফ্লাইটে অচেতন হয়ে পড়েন এক মধ্যবয়সি যাত্রী। তাঁর পালস হঠাৎই বিপজ্জনকভাবে নেমে যায়। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে বিমানকে পথ বদল করতে হয়। ভুবনেশ্বরে জরুরি অবতরণের পর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় ওই যাত্রীকে। এই ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ৯ অক্টোবর।
পরপর এমন বিপদজনক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের আতঙ্ক বাড়ছে। ককপিট থেকে কেবিন—সব জায়গায় চাপে থাকছেন কর্মীদেরাও। আকাশে মাঝ পথে যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে কীভাবে সামাল দিতে হবে, তা নিয়ে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আগেও ছিল, কিন্তু এত ধারাবাহিক মেডিক্যাল জরুরি অবস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসকে বিভ্রান্তিতে ফেলছে। ভ্যানকুভার–কলকাতা ফ্লাইটে যাত্রীর মৃত্যু সেই আতঙ্ককেই আরও ঘনীভূত করে তুলল।












