দেশ ও আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় যেন একের পর এক বিপর্যয়ের ছায়া! ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক ড্রিমলাইনার বিমান ভেঙে পড়ে, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬৫ জন। বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল, কিন্তু টেক অফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে শোক ও আতঙ্ক (Air India)।
ঠিক এই সময়, আন্তর্জাতিক মহলেও বড়সড় অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ইজরায়েল একটি ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছে ইরানের বিভিন্ন সরকারি ভবন, সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায়। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। ইজরায়েলের এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার হোসেইন সালামি। এই খবর নিশ্চিত করেছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ও এএফপি সংবাদ সংস্থা।
এই পরিস্থিতিতে পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইজরায়েলে জারি করা হয়েছে জাতীয় জরুরি অবস্থা বা ‘স্টেট অফ ইমার্জেন্সি’ (Air India)। দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে এই সামরিক অভিযান চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা এতটাই যে ইরান তাদের দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে (Air India)। ভারতের এয়ার ইন্ডিয়াও (Air India)একাধিক আন্তর্জাতিক রুট বন্ধ বা ডাইভার্ট করছে। অনেক ফ্লাইট আকাশে তিন ঘণ্টা ঘোরার পর ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যেমন, মুম্বই থেকে লন্ডনগামী একটি বিমান আকাশে ঘোরার পর নিরাপত্তার কারণে আবার মুম্বইতেই অবতরণ করে।
এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) জানিয়েছে, যাত্রীদের অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে বা যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ও ফেরতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চাইলে যাত্রীরা টাকা ফেরতও নিতে পারবেন বা বিনামূল্যে অন্য ফ্লাইটে রিসিডিউল করতে পারবেন।
ইজরায়েলে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য ভারতীয় দূতাবাস সতর্কবার্তা জারি করেছে। দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, সবাই যেন অত্যন্ত সাবধানে থাকেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন। উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে ইরানের সেনা প্রস্তুতি বাড়িয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই পরিস্থিতি ক্রমেই আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
