বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) সহ-চালক ক্লাইভ কুন্দের মৃত্যুর খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। ক্লাইভ কুন্দের ছিলেন বিক্রান্তের কাজিন (কাকুর ছেলে)। এই দুর্ঘটনায় ২৬৫ জনের বেশি মানুষ প্রাণ (Ahmedabad Plane Crash) হারিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বিক্রান্ত লেখেন, “আজ আহমেদাবাদের এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। আরও বেশি যন্ত্রণা দিচ্ছে এই খবর যে, আমার কাকু ক্লিফোর্ড কুন্দের নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন (Ahmedabad Plane Crash)। ক্লাইভ কুন্দেরই ছিলেন সেই বিমানের ফার্স্ট অফিসার।”
তিনি আরও লেখেন, “ঈশ্বর আপনাদের পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। এবং সবাই যারা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে রইলাম।”

ফ্লাইট AI171, যা লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাচ্ছিল, সেই বিমানের ফার্স্ট অফিসার (Ahmedabad Plane Crash) ছিলেন ক্লাইভ কুন্দের। তাঁর ছিল ১১০০ ঘণ্টারও বেশি উড়ানের অভিজ্ঞতা। সঙ্গে ছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল, যিনি ৮২০০ ঘণ্টার বেশি উড়েছেন এবং একজন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন।
বিমানটি দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেক-অফ করার কয়েক মুহূর্ত পরেই বিধ্বস্ত হয়। এটি মেঘানিনগর এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালের হোস্টেল ভবনে সজোরে ধাক্কা মারে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসস্তূপ ও মৃত্যু।
এই ঘটনায় অন্তত তিনজন মেডিকেল ছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, জানিয়েছেন গুজরাট ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ডঃ মেহুল শাহ।
দুর্ঘটনার ঠিক আগে বিমানের ককপিট থেকে “মেডে” (জরুরি বিপদের সংকেত) পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA) এবং এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) তদন্ত শুরু করেছে।