আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া (Ahmedabad Plane Crash)এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171-তে মনিপুরের দুই কেবিন ক্রু সদস্য ছিলেন। তাঁদের নাম কংব্রাইলাতপাম ঙানথমৈ শর্মা এবং সিংসন লামনুনথেম। এই বিমানটি (Ahmedabad Plane Crash) লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে যাচ্ছিল, এবং এতে মোট ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। এখন পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, শুধু একজন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন।
থোবাল জেলার বাসিন্দা ঙানথমৈ শর্মা এবং ইম্ফল ওয়েস্টের ওল্ড লাম্বুলেনের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কাংপোকপিতে আশ্রয় নেওয়া সিংসন লামনুনথেম—দু’জনেই মণিপুরের সাম্প্রতিক জাতিগত সংঘাতের ন শিকার পরিবার থেকে আসেন। মে ২০২৩ সাল থেকে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে ২৫০-র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ৬০,০০০-এর বেশি মানুষ ঘরছাড়া।
লামনুনথেমের এক আত্মীয় গৌলুন সিংসন বলেন, “বুধবার শেষবার কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে। বলেছিল, লন্ডনে যাচ্ছে ফ্লাইট নিয়ে। তারপর থেকে আর যোগাযোগ নেই (Ahmedabad Plane Crash)। ও ২০২৩ সালে এয়ার ইন্ডিয়াতে কাজ শুরু করেছিল। সংঘাতের কারণে আমরা সবাই কাংপোকপিতে আশ্রয় নিয়েছি।”
থোবালে ঙানথমৈ শর্মার বাড়ি তখন শোকাচ্ছন্ন। সংবাদমাধ্যম পৌঁছালে আত্মীয়রা কষ্ট চেপে বলেন, “আপনারা কি ঙানথমৈয়ের মৃত্যুর (Ahmedabad Plane Crash) খবর নিতে এসেছেন?” তারপর আর কিছু বলতে রাজি হননি।
স্থানীয় বিধায়ক সুরজকুমার ওক্রাম বলেন, “আমরা এখনও ঙানথমৈয়ের খোঁজে আছি। সরকারি ও এয়ার ইন্ডিয়ার (Ahmedabad Plane Crash) পক্ষ থেকে সঠিক তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।”

মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরে এক্স-এ লেখেন, “এই দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গোটা জাতি স্তব্ধ। যাঁরা বিমানে ছিলেন, তাঁদের পরিবারদের জন্য প্রার্থনা করছি।”
এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফ্লাইট AI171 দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে ওড়ে। তাতে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান, ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক এবং অন্তত দু’জন শিশু। বিমানটি উড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আহমেদাবাদে মেঘানিনগর এলাকার একটি মেডিকেল কলেজ কমপ্লেক্সে ভেঙে পড়ে।
এখনও পর্যন্ত আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং দুর্ঘটনার তদন্তে বিমান সংস্থা ও প্রশাসন পূর্ণ সহযোগিতা করছে।
আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি একমাত্র জীবিত যাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন।