আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Plane crash) নিয়ে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর (AAIB) প্রাথমিক রিপোর্টে ক্ষুব্ধ হলেন মৃত পাইলট সুমিত সবরওয়ালের নবতিপর বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল। তাঁর অভিযোগ, এই রিপোর্ট একেবারেই ত্রুটিপূর্ণ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ছেলেকে(Ahmedabad Plane crash) কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। এতে ছেলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, যা মানসিকভাবে তাঁকে ভীষণ আঘাত দিয়েছে।
পুষ্করাজ সবরওয়াল ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং এএআইবি-র ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি লিখে নতুন করে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়েছেন (Ahmedabad Plane crash)। তাঁর কথায়, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু অংশ দেখে মনে হচ্ছে সুমিতের মানসিক অবস্থাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ধারণা তৈরি করা হয়েছে। এতে ছেলের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। তিনি আরও লিখেছেন, ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী সম্মান রক্ষা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার, তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে নতুন তদন্ত হওয়া জরুরি।
গত ১২ জুন ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান উড়ানের কয়েক সেকেন্ড পরই ভেঙে পড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজের উপর। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী। প্রাথমিক তদন্তে AAIB জানায়, বিমানের উড়ানের সময় আচমকাই দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রিপোর্টে দাবি, ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার আগে ককপিটে এক পাইলট অপরজনকে প্রশ্ন করেন—“ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?” জবাবে আরেকজন বলেন—“আমি কিছু বন্ধ করিনি।”
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাইলটরা ইঞ্জিন ফের চালু করার চেষ্টা করেন। একটি ইঞ্জিন চালু হলেও আরেকটি চালু করা যায়নি। ফলে বিমান পর্যাপ্ত ‘থ্রাস্ট’ পায়নি এবং ভেঙে পড়ে। প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই অভিজ্ঞ পাইলট সুমিত সবরওয়ালের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন ওঠে। সেই রিপোর্ট নিয়েই এখন প্রতিবাদে সরব তাঁর বাবা।