লন্ডনে পড়াশোনা করার স্বপ্ন ছিল পায়েল খাতিকের। রাজস্থানের উদয়পুরের এই মেধাবী মেয়ে গুজরাটের হিম্মতনগরে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন (Ahmedabad Plane Crash)। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171-এ লন্ডনের গ্যাটউইকে যাওয়ার জন্য রওনা দেন তিনি। ৯ ঘণ্টার একটি স্বপ্নযাত্রা ছিল সেটা — কিন্তু সেটাই হয়ে উঠল তার জীবনের (Ahmedabad Plane Crash) শেষ যাত্রা।
বিমানটি ওড়ার মাত্র ৫৯ সেকেন্ডের মধ্যে ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের একটি ডাক্তারদের হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে (Ahmedabad Plane Crash) এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। প্লেনে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।

পায়েল বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে লন্ডন যাচ্ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই স্কুলে টপ করতেন এবং পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি পরিবার ও দেশের গর্ব হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন (Ahmedabad Plane Crash)।
এই দুর্ঘটনার পর গুজরাট ও রাজস্থানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে (Ahmedabad Plane Crash)। হিম্মতনগরে তাঁর বাড়িতে নেমেছে কান্নার রোল। পায়েলের পরিবার এখনো সরকারি ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছে, যদিও তাঁকে যাত্রী তালিকায় নিশ্চিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিমানে ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল এবং আগুন লাগার পর তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে ভেতরে কারো বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। তিনি বলেন, নিহতদের সংখ্যা ও পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষার পরই সরকারিভাবে জানানো হবে।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে শোক ও বিস্ময়ের ছায়া। AI171 ছিল একটি স্বপ্নপূরণের ফ্লাইট, যা হয়ে উঠল শতাধিক জীবনের সমাধি।