লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI171-এর ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Ahmedabad plane crash) নাগপুরের কামদার-মোঢা পরিবার তাদের তিনজন সদস্যকে হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এটি গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক বিমান দুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে বিবেচিত হচ্ছে। দুর্ঘটনায় অন্তত ২০৪ জন নিহত এবং ৪১ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
নাগপুরের বাসিন্দা (Ahmedabad plane crash) ৩২ বছর বয়সী ইয়াশা কামদার, বিয়ের পর গত চার বছর ধরে আহমেদাবাদে শ্বশুরবাড়ি মোঢা পরিবারে থাকছিলেন। লন্ডনে শ্বশুরের শেষকৃত্যে অংশ নিতে তিনি রওনা হয়েছিলেন নিজের দেড় বছরের ছেলে রুদ্র মোঢা এবং শাশুড়ি রক্ষা মোঢাকে (৫৮) সঙ্গে নিয়ে।
ইয়াশার শ্বশুর কিশোর মোঢা সম্প্রতি ক্যানসারে ভুগে আহমেদাবাদেই মারা যান। তিনি বহু বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করতেন এবং চিকিৎসার জন্য ভারতে ফিরে এসেছিলেন। পরিবারটির পরিকল্পনা ছিল—ইয়াশা, তাঁর ছেলে ও শাশুড়ি প্রথমে লন্ডন যাবেন এবং কয়েকদিন পরে তাঁর স্বামী তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ওই তিনজনই বিমানটিতে ছিলেন এবং সেটি বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি সরকারি হাসপাতালের হোস্টেল ভবনে ধাক্কা মেরে বিধ্বস্ত হয় (Ahmedabad plane crash) ।
যদিও তাঁদের মৃত্যুর বিষয়ে সরকারি ঘোষণা এখনো আসেনি, তবে তাঁদের নাম বিমানের যাত্রী তালিকায় রয়েছে—ইয়াশা কামদার (তালিকা নং ৭৪), রক্ষা মোঢা (তালিকা নং ৯৫), এবং রুদ্র মোঢা (তালিকা নং ৯৬)।
মর্মান্তিক এই সংবাদ পাওয়ার পরই ইয়াশার বাবা-মা নাগপুর থেকে সমৃদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নাগপুরে কামদার পরিবারের প্রতিবেশীরা গভীর শোক ও বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন।
ইয়াশার প্রতিবেশী মনোজ ছাফলে জানান, ইয়াশা খুবই আন্তরিক, হাসিখুশি এবং সৌম্য স্বভাবের মেয়ে ছিলেন। বিয়ের পরেও সে নিজের শহরের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
ফ্লাইট AI171-তে মোট ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় পুরো দেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। আহমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জি.এস. মালিক জানিয়েছেন, (Ahmedabad plane crash) মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এবং আহতদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এক সাধারণ যাত্রা মুহূর্তেই এক জাতীয় শোকের পরিণত হয়েছে।