বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এক শুনানিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, আধার কার্ড (Adhar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। এই মন্তব্য করা হয় বিহারে ভোটার তালিকার “Special Intensive Revision (SIR)” প্রক্রিয়া নিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার শুনানির সময়।
এই মামলাগুলিতে আবেদনকারীরা প্রশ্ন তোলেন, কেন নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য নির্ধারিত ১১টি নথির তালিকা থেকে আধার (Adhar Card) ও ভোটার কার্ডকে বাদ দিয়েছে, বিশেষ করে তাঁদের ক্ষেত্রে যাঁদের নাম ২০০৩ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না।
আবেদনকারীদের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট গোপাল শংকরনারায়ণ বলেন, “প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী আধার একটি বৈধ পরিচয়পত্র, তবে বিহার SIR প্রক্রিয়ায় তা গ্রাহ্য করা হচ্ছে না।” জবাবে কমিশনের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ দ্বিবেদী সাফ বলেন, “আধার কার্ড (Adhar Card) নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।”
শুধু আধার নয়, এই বিশেষ তালিকা সংশোধনের সময় নির্বাচন কমিশন যে কৌশলে এই কাজ চালাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেন, “এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ভুল কিছু নেই, তবে সময়টা সমস্যা তৈরি করছে। যাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে, তাঁদের আর সময় থাকবে না আবেদন বা আপিল করার, ফলে তাঁরা সরাসরি ভোটাধিকার হারাতে পারেন।”
আদালতের স্পষ্ট বার্তা—এত কম সময়ের মধ্যে তালিকা সংশোধন মানে অসংখ্য ভোটারকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ঝুঁকি। এই ঘটনায় শুধু বিহার নয়, গোটা দেশে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছে—যদি আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয়, তবে এতদিন তা কীসের ভিত্তিতে সরকারি পরিষেবায় ব্যবহার করা হচ্ছিল? আর নির্বাচন কমিশন কেন এই বিষয়ে এতটা অস্পষ্ট?