সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশপ্রেমিক ভিডিও পোস্ট করে লাখো ভিউ, আর আড়ালে ভারতের গোপন তথ্য পাচার করতেন পাকিস্তানে (Pakistani Agent)! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক মহিলা ট্রাভেল ব্লগার — জ্যোতি মালহোত্রা (Pakistani Agent)।
কী অভিযোগ?
হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা এই ব্লগারকে (Pakistani Agent) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভারতের সংবেদনশীল তথ্য পাচারের অভিযোগে জ্যোতির বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে একাধিক ধারায় মামলা (Pakistani Agent), যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২ নম্বর ধারা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশভক্ত, বাস্তবে পাকিস্তানের গুপ্তচর!
জানা গেছে, ২০২৩ সালে দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে গিয়েছিলেন জ্যোতি, সেখানেই পরিচয় হয় এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ নামের এক কর্মীর সঙ্গে। দানিশ পরে ভারত থেকে বহিষ্কৃত হন। তদন্তে উঠে এসেছে, জ্যোতি পাকিস্তানও গিয়েছিলেন, এবং সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার আলি এহওয়ান, শাকির ও রানা শাহবাজের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন। জ্যোতি নিজের মোবাইলে শাকিরকে সেভ করেছিলেন ‘জাট রানধাওয়া’ নামে, যাতে সন্দেহ না হয়!
হোয়াটসঅ্যাপ-টেলিগ্রামে পাকিস্তানকে খবর!
পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ফেরার পরেও জ্যোতি হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট-এর মতো প্ল্যাটফর্মে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখতেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে সামাজিক মাধ্যমে প্রোপাগান্ডা চালাতেন।
প্রেম না দেশদ্রোহ?
তদন্তকারীদের দাবি, এক পাকিস্তানি হ্যান্ডলারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল জ্যোতির। দু’জনে একসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বালিতেও ঘুরতে গিয়েছিলেন। এই প্রেমই কি তাকে দেশদ্রোহিতার রাস্তায় ঠেলে দিল?
আরও গ্রেফতারি, চলছে তদন্ত
জ্যোতির সঙ্গে হরিয়ানার আরও দু’জনকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দার আড়ালে এমন ‘ইনফ্লুয়েন্সার গুপ্তচরদের’ চক্র কতদূর বিস্তৃত? প্রশাসন বলছে, তদন্ত চলছে, আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসতে পারে।