তামিলনাড়ুর কান্যকুমারী জেলার কুলশেখরম এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে (Death)। ধনুষ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার প্রেমিকার বাড়ি থেকে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, প্রেমিকা তার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ার পর ধনুষ আত্মহত্যা (Death) করেছেন বলে অনুমান করছে পুলিশ।
ধনুষ কোয়েম্বাটুরের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন এবং তপশিলি জাতি (SC) সম্প্রদায়ের ছিলেন। তিনি যাঁর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের এক তরুণী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি (Death)। ধনুষের পরিবারও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি নাইনার নাগেন্দ্রন এই ঘটনাকে ঘিরে প্রশ্ন তুলেছেন এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
নাগেন্দ্রন এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ পোস্ট করে লেখেন, “ধনুষ, একজন হিন্দু তপশিলি জাতির যুবক, যিনি কন্যাকুমারীর কুলশেখরমে ভিন্ন ধর্মের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তাঁকে রহস্যজনকভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আর তা-ও সেই তরুণীর বাড়ির ছাদে ঝুলন্ত অবস্থায়, যাকে সে ভালবাসত—এই ঘটনাই অনেক সন্দেহ ও আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, “যেহেতু জানা যাচ্ছে ওই তরুণীর পরিবারের ঘনিষ্ঠরা শাসক দল ডিএমকে-র সঙ্গে যুক্ত, তাই মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে—এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত আদৌ হবে কি?”
নাগেন্দ্রন আরও অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার জাতপাত-সম্পর্কিত বিষয়গুলি সামলাতে ব্যর্থ এবং পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “শাসক দলের কথার পক্ষে পুলিশ যেন একতরফা তদন্ত না চালায়। আমরা ধনুষের পরিবারের পাশে আছি এবং ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত রাখব।”
এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। তবে ধনুষের মৃত্যু ঘিরে প্রেম, জাতপাত, ধর্ম এবং রাজনীতি—সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতি।