পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির (Pakistani Spy) অভিযোগে এবার সরাসরি ধরা পড়লেন ভারতের কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ-এর এক জওয়ান। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) সূত্রে জানা গেছে, ধৃত জওয়ানের নাম মোতিরাম জাঠ (Pakistani Spy)। দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স সংস্থার হয়ে গোপন সামরিক তথ্য পাচার করতেন তিনি (Pakistani Spy)।
২০২৩ সাল থেকেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন মোতিরাম—এমনটাই দাবি করেছে NIA। তদন্তে উঠে এসেছে, গোপন তথ্যের বিনিময়ে তিনি পাকিস্তান থেকে নিয়মিত টাকা পেতেন (Pakistani Spy)। জাতীয় নিরাপত্তার এমন বড় ফাঁস সামনে আসতেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো (Pakistani Spy)।
দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় এই সিআরপিএফ জওয়ানকে। এরপর তাঁকে হাজির করা হয় পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। আদালত ৬ জুন পর্যন্ত তাঁকে NIA হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বর্তমানে তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত তদন্তকারীরা।
এদিকে, এর আগেও হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা সহ একাধিক ব্যক্তিকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সহ সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল থেকে উঠেছে বেশ কয়েকটি পাকচরের নাম। এবার তালিকায় যুক্ত হল মোতিরামের মতো একজন কর্মরত জওয়ান!
সূত্র বলছে, বিষয়টি সেনাবাহিনীকেও জানানো হয়েছে। একজন সেনা জওয়ান কীভাবে এমন জাতীয় বিশ্বাসঘাতকতায় যুক্ত হলেন, তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার পটভূমিতে স্মরণ করা যায়, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর ভারত ১৫ দিনের মধ্যে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে কড়া পাল্টা আঘাত হানে। ৯টি স্থানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়। পাল্টা পাকিস্তানের গোলাবর্ষণ এবং পরে সংঘর্ষবিরতি—এই আবহে গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
একাধিক পাকচরের গ্রেফতার ও সিআরপিএফ জওয়ানের নাম উঠে আসা নিঃসন্দেহে সেনা ও গোয়েন্দা মহলে বড় অ্যালার্ম তৈরি করেছে। জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে এই ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা যে কোনো সময় বড় বিপদের কারণ হতে পারে—সেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখন গোটা দেশ তাকিয়ে NIA-এর পরবর্তী তদন্ত ও সরকার কী ব্যবস্থা নেয়, তার দিকেই।
