অসমের গোলপাড়া জেলায় বড়সড় উচ্ছেদ অভিযান চালাল জেলা প্রশাসন (Assam)। শনিবার সকালে শুরু হওয়া এই অভিযানে ১৪০ হেক্টরেরও বেশি সংরক্ষিত বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, বহু বছর ধরে বিদ্যাপাড়া ও বেতবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল শতাধিক বসতিপাড়া, যার জেরে বিপর্যস্ত হচ্ছিল হাতি-মানুষ সহাবস্থান ও বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য (Assam)।
অভিযান শুরু হয় সকাল থেকেই। অসম (Assam) বনদপ্তর ও রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে চলে এই উচ্ছেদ। শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী, একাধিক বুলডোজার ও খননযন্ত্র নিয়ে শুরু হয় ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ। প্রশাসন জানিয়েছে, প্রায় ২,৭০০টি অবৈধ নির্মাণ ও প্রায় ১,০৮০টি পরিবারকে ওই সংরক্ষিত বন এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ও চলতি বছরের জুনে দুই দফায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল, যাতে তারা স্বেচ্ছায় চলে যায় (Assam)। অনেকেই সেই অনুযায়ী সরে যান, বাকিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় কড়া ব্যবস্থা।
গোলপাড়া বিভাগের বন আধিকারিক (Assam) তেজেশ মইস্বামী জানান, “উদ্ধারকৃত জমিতে ফের গাছপালা রোপণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর পাশাপাশি হাতি-মানুষ সংঘাত কমাতেও এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি ছিল।”
গোলপাড়া জেলাকে ভারতের অন্যতম ‘হাতি-মানুষ সংঘাত প্রবণ’ জেলা হিসেবে ধরা হয়। বনভূমি কেটে মানুষের বসবাসের ফলে বন্যপ্রাণের গতিপথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর জেরেই প্রতিনিয়ত সংঘর্ষ বেড়েছে। তাই উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে এই অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন।
এই উচ্ছেদের ফলে ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৩০ হেক্টর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি বনদপ্তরের। প্রশাসনের আশা, এই বনভূমি আবার প্রাণ ফিরে পাবে, ও ভবিষ্যতে হাতি এবং মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।