হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানার কানাইপুর এলাকায় নিখোঁজ এক যুবককে খুন করে গভীর নলকূপে দেহ লোপাট (Murder) করার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। দেড় মাস আগে নিখোঁজ হওয়া যুবক রবীন রুইদাসের খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী অপর্ণা রুইদাস, শ্বশুর, শ্যালক ও ভায়রাভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার চারজনকেই শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে চার দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে (Murder)।
রবীন রুইদাস চণ্ডীতলা থানার মশাট এলাকার বাসিন্দা। বছর এগারো আগে তাঁর বিয়ে হয়। গত কিছু মাস ধরে স্ত্রী অপর্ণার সঙ্গে তিনি থাকছিলেন শ্বশুরবাড়িতে, জাঙ্গিপাড়ার কানাইপুর এলাকায়। সেখান থেকেই দেড় মাস আগে আচমকাই নিখোঁজ হন রবীন। পরিবার অনেক খোঁজ করেও তাঁর কোনও হদিস না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে (Murder)।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সূত্রের খবর, তদন্তে উঠে এসেছে, রবীনকে পরিকল্পনা করে খুন v করা হয় এবং তাঁর দেহ গভীর নলকূপের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। এই গভীর নলকূপটি একটি কৃষিজমিতে সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়। রবিবার সকালে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ, চলতে থাকে দেহ উদ্ধারের তৎপরতা (Murder)।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার চালাতেন রবীন। সেই কারণে অপর্ণা বাপের বাড়িতে ফিরে যান, কিন্তু সেখানেও নির্যাতন চলত। পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে আরও অভিযোগ, অপর্ণার একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে কারণে ডিভোর্স চাইছিলেন রবীন। এই বিবাহবিচ্ছেদের চাপে পড়েই রবীনকে খুন (Murder) করার সিদ্ধান্ত নেয় অপর্ণা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলে দাবি মৃতের ভাইয়ের।
এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে তীব্র ক্ষোভ ও শোক। রবীনের দেহ উদ্ধার না হওয়ায় পরিবার অনিশ্চয়তায় ভুগছে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে দ্রুত দেহ উদ্ধার ও হত্যার প্রকৃত রহস্য খোলসা করা হবে।