Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ট্রেনে শিক্ষিকার সিট বাঁচালেন রাজ্যপাল, তারপর সরাসরি পৌঁছে গেলেন তাঁর স্কুলে! তুমুল চর্চায় ঘটনায়
জেলা

ট্রেনে শিক্ষিকার সিট বাঁচালেন রাজ্যপাল, তারপর সরাসরি পৌঁছে গেলেন তাঁর স্কুলে! তুমুল চর্চায় ঘটনায়

school teacher a
Email :2

মুর্শিদাবাদের ট্রেনে ঘটে গেল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। রানাঘাট থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে বহরমপুরে যাচ্ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor)। ট্রেনের পাশের সিটেই বসেছিলেন জিয়াগঞ্জ সুরেন্দ্রনারায়ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা চন্দ্রানী হালদার। ভিড়ে সিট নিয়ে সামান্য গুঞ্জন উঠতেই বহু যাত্রীই শিক্ষিকাকে সরে বসতে বলেন। আর ঠিক সেই সময়েই সামনে এগিয়ে এলেন রাজ্যপাল (Governor)। শান্ত গলায় চারপাশকে বোঝান— “এই সিটটা শিক্ষিকারই, উনি ঠিক জায়গায়ই বসেছেন।”

রাজ্যপালের (Governor) মানবিক আচরণে আপ্লুত শিক্ষিকা। পরে কথায় কথায় উঠে আসে স্কুলের প্রসঙ্গ। চন্দ্রানী দেবী আমন্ত্রণ করেন— জিয়াগঞ্জে গিয়ে একবার তাঁর স্কুলে যেন পা রাখেন রাজ্যপাল। আর ঠিক সেভাবেই, অপ্রত্যাশিতভাবে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলে পৌঁছে যান Governor সি ভি আনন্দ বোস।

স্কুলের শিক্ষিকারা তাঁকে ঘিরে ধরতেই রাজ্যপাল (Governor) শিশুদের হাতে চকোলেট বিলি করেন। স্কুলের উন্নয়নে দশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। সঙ্গে দেন আরও দু’ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।

এদিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও বাংলাদেশি পুশব্যাক নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস (Governor)। কিন্তু ট্রেনের সহযাত্রীর সিট বাঁচানো থেকে শুরু করে স্কুলে সফর— তাঁর এই আচরণে মুগ্ধ জিয়াগঞ্জের মানুষ।

শিক্ষিকা চন্দ্রানী হালদারের কথায়, “কলকাতা থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম। সবাই আমাকে সরে বসতে বলছিল। অথচ উনার মুখেই প্রথম শুনলাম— না, এটা আমার সিট। ওনার ব্যবহার সত্যিই অবাক করে দিয়েছে। জানতে পেরে যে উনিও জিয়াগঞ্জ যাচ্ছেন, অনুরোধ করলাম স্কুলে আসতে। আর তিনি সত্যিই এলেন!’’

মানবিকতার এই বিরল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে প্রশংসার ঢেউ। রাজনৈতিক ব্যস্ততা ভুলে এভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো— মুর্শিদাবাদে তা এখন দিনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts