রাত থেকেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই ভিজছে আকাশ, আর সেই বৃষ্টি কলকাতাকেও ছাড়েনি (Weather Update)। তবে একটানা নয়, মাঝে মাঝেই হচ্ছে প্রবল বর্ষণ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এটি ‘ব্রেক মনসুন’-এর প্রভাব। যদিও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি বেশি চিন্তার (Weather Update)। ঘূর্ণাবর্ত ও মৌসুমী অক্ষরেখার জোড়া প্রভাবে আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে।
গত কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে তিস্তা, তোর্সা-সহ একাধিক নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। নতুন করে ভারী বৃষ্টি (Weather Update) হলে নদীগুলির জলস্তর আরও বাড়তে পারে, যা নিম্নাঞ্চলে ফের প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের প্রাণরেখা জাতীয় সড়ক ১০ নম্বরে একাধিক জায়গায় ধস নামায় যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পেও ধসের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে (Weather Update)। মঙ্গলবার সকালে কালিম্পংয়ের রবিঝোরায় ৭ নম্বর টানেলের মুখে ধস প্রতিরোধের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও মালদা জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে, এবং রবিবারের আগে এর তীব্রতা কমার সম্ভাবনা নেই।
উত্তর-পূর্ব অসম ও উত্তর বাংলাদেশের উপর অবস্থান করছে দুইটি ঘূর্ণাবর্ত, যা দক্ষিণবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা জাগিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস। পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকায়ও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৮১ থেকে ৯৬ শতাংশ থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি অব্যাহত থাকবে। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ৩১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৭.৬ মিলিমিটার।