বিহারে সরেছে নিম্নচাপ, আর তার জেরে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় (Weather Update) দেখা যাচ্ছে বড়সড় পরিবর্তন। মৌসুমী অক্ষরেখা ও নিম্নচাপের প্রভাব অনেকটাই কমেছে, যার ফলে আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে উপকূলবর্তী জেলা ও কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি রয়েছে (Weather Update) ।
তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও স্বস্তি নেই সাধারণ মানুষের (Weather Update) । বরং ভ্যাপসা গরমের দাপট আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কারণ, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রা এখনও অত্যন্ত বেশি — যা ঘোরাফেরা করছে ৯১ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে। ফলে ঘাম ঝরানো গরম থেকে মুক্তি নেই শহরবাসীর (Weather Update) ।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টির জেরে বাড়ছে জলস্তর (Weather Update) । ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন) জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে — বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। ফলে দামোদর ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর দুই তীর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি করেছে ডিভিসি। এর ফলে ব্যাপক জলবন্দি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে খানাকুল, আরামবাগ ও ঘাটাল এলাকায়। ফুঁসছে রূপনারায়ণ ও শিলাবতী নদী।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর সংযোগস্থলে। পানশিউলি বাজার এলাকায় দুই নদীর জল উপচে প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ইতিমধ্যেই অন্তত চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০টিরও বেশি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং জরুরি ব্যবস্থা নিতে আজই ঘাটাল যাচ্ছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
অন্যদিকে, আবহাওয়ার আরও এক নতুন সতর্কতা জারি হয়েছে উত্তরবঙ্গের জন্য। দক্ষিণে বৃষ্টি কমলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দাপট আরও বাড়তে চলেছে। আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি — এই পাঁচ জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
একদিকে দক্ষিণবঙ্গ পুড়ছে ভ্যাপসা গরমে, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা — এই দুই মেরুর আবহাওয়া ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন উদ্বেগ।