চিন ও ভিয়েতনামের উপকূলে আছড়ে পড়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘উইফার’-এর প্রভাব এবার সরাসরি পড়তে চলেছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে (Weather Update)। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, তা নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আকাশ থাকবে সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন, আর বিক্ষিপ্তভাবে নামবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই হঠাৎ রূপ বদলের কারণে সমুদ্রও হতে চলেছে উত্তাল, যার ফলে মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা (Weather Update)।
আজ, বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সকালবেলা ঘর থেকে বেরোতেই শরীরে ঘাম ঝরছে টপাটপ (Weather Update)। তবে এই অস্বস্তির মাঝে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বিকেলের পর, যখন উপকূলবর্তী ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে শুরু হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ আরও বেশি করে ঢেকে যাবে মেঘে, আর সেই সঙ্গে শুরু হবে ভারী বৃষ্টির দাপট।
আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলেই বৃষ্টির তীব্রতা থাকবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। আর শনিবার থেকে বৃষ্টির প্রকোপ আরও বাড়বে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রবিবারও চলবে এই ধারাবাহিক বর্ষণ।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বুধবার ও বৃহস্পতিবার তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। দুই-একটি জায়গায় দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বাতাস বইতে পারে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।