Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ভোটার লিস্টে ভূত! মঙ্গলকোটে পাঁচ ‘অদৃশ্য’ সংখ্যালঘু ভোটার, চেনেন না কোনও গ্রামবাসীও
জেলা

ভোটার লিস্টে ভূত! মঙ্গলকোটে পাঁচ ‘অদৃশ্য’ সংখ্যালঘু ভোটার, চেনেন না কোনও গ্রামবাসীও

election commission s
Email :1

পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে ‘বাঙালি অস্মিতা’ ও ‘ভুতুড়ে ভোটার’ বিতর্ককে ঘিরে (Fake Voters)। সদ্য শুরু হওয়া এসআইআর (SIR) বিতর্কের আবহে নতুন করে উত্তাল হয়েছে মঙ্গলকোট। এবার পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকায় ভোটার তালিকায় পাওয়া গেল এমন পাঁচ জনের নাম (Fake Voters, যাঁদের বাস্তবে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক তরজায় সরব দুই শিবির— বিজেপি বলছে, ভুতুড়ে ভোটারদের সাহায্যে ভোট লুঠের ছক কষছে তৃণমূল, অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ— সংখ্যালঘু ভোটারদের বাদ দিতেই এই ‘ভুতুড়ে’ নাটক করছে বিজেপি (Fake Voters।

বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে মঙ্গলকোট বিধানসভার সরগ্রাম অঞ্চলের মোট ১২টি বুথ (Fake Voters)। এখানেই ভোটার তালিকায় হঠাৎ দেখা মিলেছে চার জন মহিলা-সহ মোট পাঁচ সংখ্যালঘু নামের। অথচ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় কোনও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দাই নেই। এক প্রবীণ গ্রামবাসী বললেন, “আমাদের এখানে এমন কেউ কোনওদিন দেখিনি। ভোটার লিস্টে নাম থাকলেও ওরা ভোট দিতে পারবে না ((Fake Voters)।”

স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক জানিয়েছেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কোনও ভুতুড়ে নাম থেকে থাকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী তা বাতিল করা হবে।”

এই প্রসঙ্গে মঙ্গলকোটের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি দেবজিৎ দে সরাসরি অভিযোগ করেছেন, “আমরা হঠাৎ দেখছি রাখি খাতুন, বিউটি খাতুন, রসিনা খাতুন, সফিউদ্দিন শেখ, হালিউদ্দিন বেগম— এই পাঁচ সংখ্যালঘুর নাম ঢুকেছে ভোটার তালিকায়। অথচ গ্রামের কেউই এদের চেনে না। মনে হচ্ছে তৃণমূলই ইচ্ছাকৃতভাবে এইসব রোহিঙ্গা ভোটার ঢুকিয়ে দিয়েছে।”

অন্যদিকে, পাল্টা বক্তব্য তৃণমূলের। কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা সুশান্ত পাঁজা বলেন, “বিজেপি চাইছে সংখ্যালঘু ভোটারদের নাম বাদ দিতে। আমরা আগেও কমিশনে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। নম্বর চেয়েছিলাম, কিন্তু কমিশন বিজেপির হাত ধরে তৃণমূলকে বদনাম করতেই তালিকায় এই নাম জুড়ে দিয়েছে।”

গ্রামবাসীদের মতে, এই পাঁচ জনের কারোরই উপস্থিতি গ্রামের কোথাও নেই— না বৈঁচি গ্রামে, না আশপাশের এলাকায়। তাহলে এঁদের নাম ভোটার তালিকায় এল কীভাবে, এই প্রশ্নে উত্তাল রাজনীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts