শিলিগুড়ির উত্তরে আজ যেন কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা (UttarKanya Abhijan) নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহিদ দিবসের সভার দিনে পাল্টা কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে বিজেপি। উত্তরকন্যা অভিযানের (UttarKanya Abhijan) ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কর্মসূচি ঘিরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিজেপির মিছিল (UttarKanya Abhijan) শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় থেকে শুরু করে উত্তরকন্যার দিকে অগ্রসর হবে। আর সেই পথে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে কোনওভাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
ইতিমধ্যেই মিছিলের সম্ভাব্য রুটে বসানো হয়েছে দ্বিস্তরীয় গার্ডরেল (UttarKanya Abhijan) । প্রস্তুত রাখা হয়েছে একাধিক জলকামান। গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলেছে রাজ্য পুলিশ। উত্তরকন্যার আশেপাশে সাধারণ মানুষের চলাচল কার্যত নিয়ন্ত্রিত।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপির এই কর্মসূচির জন্য শর্তসাপেক্ষ(UttarKanya Abhijan) অনুমতি দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, সর্বাধিক ১০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পারবেন। কিন্তু কোনও অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং আদালত জানিয়েছে, এটি হতে পারে একটি জনসভা বা প্রতীকী মিছিল। তাতে ১২০ থেকে ১৫০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা যেন কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়, সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয়—এই শর্তে ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত।
তবু আদালতের নির্দেশ মানা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশের এমন কড়া নিরাপত্তা বলয় দেখে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপি নেতাদের মতে, রাজ্য সরকার তাঁদের সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
একদিকে যখন কলকাতার ধর্মতলায় জড়ো হয়েছেন লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মী, মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ তাবড় নেতৃত্ব, তখন অন্যদিকে পাল্টা রাজনৈতিক বার্তা দিতে বিজেপির কর্মসূচি চলছে উত্তরকন্যা ও খড়্গপুরে।
খড়্গপুরে দলীয় শহিদ বিজেপি কর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক কার্যালয় পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এ যেন একদিনে বাংলার দুই প্রান্তে দুই বিপরীত রাজনৈতিক বার্তার প্রতিধ্বনি—একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের আবেগঘন শহিদ স্মরণ, অন্যদিকে রাজ্যের শাসককে চাপে ফেলতে বিজেপির দৃঢ় অবস্থান ও প্রতিবাদী অভিযান।