হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বহিরা গ্রামের বিকেলটা রীতিমতো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল (Uluberia)। স্কুল ছুটির পরে প্রতিদিনের মতোই ছোট চারচাকা পুলকারে করে বাড়ি ফিরছিল পাঁচ পড়ুয়া। কিন্তু সোমবার বেলা তিনটার কিছু পরে সেই রুটিন যাত্রাই মুহূর্তে বদলে গেল মর্মান্তিক মৃত্যুমিছিলে (Uluberia)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলকার সোজা রাস্তার পাশের গভীর পুকুরে উল্টে পড়ে যায়। গাড়িটি ডুবে যায় একেবারে মাঝখানে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় তিনটি শিশু—ঈশিকা মণ্ডল (৭), সৌমিক দাস (১১) এবং অরিন দে (৯)। বাকি দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় (Uluberia)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলকার প্রতিদিনই স্কুল–পড়ুয়াদের আনা-নেওয়া করত এবং সাধারণত ছ’জন থেকে আটজন পড়ুয়া থাকত গাড়িতে (Uluberia)। এদিনও ছ’জন ছিল। একজনকে আগে নামানোর পরই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। কীভাবে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল, চালকের ভুল নাকি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি—সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল এবং পুকুরের মাঝ বরাবর গিয়ে একধাক্কায় ডুবে যায় (Uluberia)।
ঘটনার পর গ্রামজুড়ে শুরু হয় হাহাকার। স্থানীয় বাসিন্দারা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাচ্চাদের উদ্ধার করতে। সামনের আসনে থাকা দু’জনকে দ্রুত বের করা সম্ভব হলেও পিছনের আসনে আটকে পড়া তিন শিশুকে উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার পর পুলকারচালক পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কয়েক ঘণ্টা পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছান উলুবেড়িয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, এসডিপিও শুভম যাদব এবং ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক। শিশুদের মৃত্যুতে গোটা এলাকা শোকের ছায়ায় ঢেকে যায়।











