হাওড়ার বাঁকড়ায় শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলে আরিয়ান খানের কীর্তি সকলকে হতবাক করে দিয়েছে (Panihati)। মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে পর্নোগ্রাফি বানানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। খবর সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে শ্বেতা আর আরিয়ান উধাও হয়ে গেছেন। গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ থাকলেও তাদের খোঁজ মেলেনি। অভিযুক্তরা যেই এলাকায় থাকতেন, সেখানকার অনেকেই মুখ খুলেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, শ্বেতা আর আরিয়ানের রাজনৈতিক প্রভাব বেশ শক্তিশালী ছিল। তারা তৃণমূলের কিছু প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছিলেন। পুলিশের সঙ্গেও তাদের যোগসূত্র থাকার কথা এলাকাবাসী বলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, “তারা খুব প্রভাবশালী। তৃণমূলের বড় বড় নেতা থেকে ফাঁড়ি পুলিশ সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করত (Panihati)। এমন ঘটনা হলে অনেক কিছুই চেপে থাকত।” অন্য একজন বলেন, “বাইরের নেতারা ওকে সম্মান দিত, কিন্তু স্থানীয় নেতারা পাত্তা দিত না।”
শ্বেতার ফেসবুক প্রোফাইলে (Panihati) দেখা গেছে, সেখানে রয়েছে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ছবি। তিনি শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য দেওয়াল লিখন করতেন। আরেক বাসিন্দা জানান, “আমরা অনেক কিছু জানতাম, কিন্তু ভয়ে বলতে পারিনি। রাতে প্রভাবশালী লোকজন আসত, গাড়ি পার্ক করত ওর বাড়ির সামনে। ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারিনি।”
এই ব্যাপারে বাঁকড়ার পঞ্চায়েত প্রধান ও তৃণমূল নেতা আখতার মোল্লা বলেন, “শ্বেতাকে আমরা ফুলটুসি নামে চিনতাম। ওর এই কাজগুলো গোপনে হতো, সামনে কখনো করত না।” আর তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানান, “সমাজে ভালো কাজের সঙ্গে খারাপ কিছু কাজও ঘটে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই। বড় দলের সঙ্গে কিছু ব্যক্তির কাজের সম্পর্ক করা ঠিক হবে না (Panihati)।”
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে, যখন গত রবিবার এক তরুণীর পরিবারের লোকজন পানিহাটি (Panihati) থানায় আরিয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের আড়ালে তরুণীকে ডোমজুড়ে বার ড্যান্সারের কাজ করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। ওই তরুণী জানিয়েছেন, সেখানে থাকার সময় শুনেছেন যে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা চলছে। এসব শুনে তিনি পালিয়ে আসেন। তাকে পালিয়ে আসতে সাহায্য করেন আরিয়ানের ঠাকুমা। মারধরের কারণে তরুণী এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। (Panihati) এরপর তদন্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বেতা ও আরিয়ানের একাধিক অপরাধ প্রকাশ পেয়েছে।