পশ্চিম মেদিনীপুরে এক ফুটবল মাঠে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। খেলায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের জেরে রেফারিকে প্রকাশ্যে লাথি মেরে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান। ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর শহরের চার্চস্কুল মাঠে আয়োজিত ওল্ড প্রদীপ সংঘের ফুটবল টুর্নামেন্টে। রাজা খান এই সংঘের সম্পাদক এবং তাঁর টিমও এই খেলায় অংশ নিয়েছিল ।
ম্যাচ চলাকালীন প্রতিপক্ষ দল একটি গোল করে। কিন্তু রাজা খান দাবি করেন গোলটি বৈধ নয় (TMC)। রেফারি লক্ষ্মণ মান্ডি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। তখনই রেগে গিয়ে রাজা প্রথমে আঙুল তুলে রেফারিকে শাসান, তারপর আচমকা তাঁর পেটে সজোরে লাথি মারেন। এই মুহূর্তটির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানান।
লক্ষ্মণ মান্ডি শুধু রেফারি নন, তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও। তিনি জানিয়েছেন, রাজা খানের (TMC) টিম শেষ পর্যন্ত জিতে গেলেও তিনি আতঙ্কে রয়েছেন—“হারলে হয়তো আমি বাড়ি ফিরতে পারতাম না।”
ঘটনার পর রাজা খানকে গ্রেফতার করেছে মেদিনীপুর কোতওয়ালি থানার পুলিশ। আদালত তাঁকে দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার সময় রাজা স্বীকার করেন, তাঁর ভুল হয়েছে।
এদিকে, রাজা খানের কাকা ও মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, তিনি আগে এই ঘটনার খবর জানতেন না। তবে যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, ক্ষমা চাওয়া উচিত। শুধু রেফারিই নন, মাঠে কয়েকজন দর্শককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজার বিরুদ্ধে।