ভাঙড়ের রাজনৈতিক হিংসার বলি তৃণমূল নেতা রজ্জাক খাঁয়ের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার (TMC Leader Murder)। নিহত নেতার স্ত্রীকে গ্রুপ-ডি পদে সরকারি চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই এই ব্যবস্থা—এমনটাই জানিয়েছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা (TMC Leader Murder)।
গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় রক্তাক্ত নাটক ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (TMC Leader Murder)। বাড়ি ফেরার পথে মাঝরাস্তায় দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান তৃণমূল নেতা রজ্জাক খাঁ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তাঁকে লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছোড়া হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রজ্জাকের মাথা ও বুকে মিলিয়ে মোট পাঁচটি গুলি লাগে। ডানদিকের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারারও চিহ্ন পাওয়া গেছে। সূত্রের মতে, দেশীয় বন্দুক থেকেই ছোড়া হয়েছিল এইট এমএম গুলি (TMC Leader Murder)।
এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও, পুলিশ তদন্তে নেমেছে। খুনের কারণ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন, কারণ রজ্জাক ছিলেন শাসকদলেরই এক প্রভাবশালী নেতা এবং বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ (TMC Leader Murder)। ফলে ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
এদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্রুততার সঙ্গে মৃত নেতার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। শনিবার রজ্জাক খাঁয়ের বাড়িতে যান বিধায়ক শওকত মোল্লা। সেখানেই তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগ নিয়ে রজ্জাকের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দিতে চলেছেন। আগামী সোমবার সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে বলে জানান বিধায়ক।
পরিবার সূত্রে খবর, রজ্জাকের স্ত্রী, এক কন্যা ও এক পুত্র—এই চারজনেরই ভরসা ছিলেন রজ্জাক খাঁ। তাঁর মৃত্যুতে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল পরিবারটি। সেই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক পদক্ষেপ কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে শোকস্তব্ধ পরিবারকে।