Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • অন্ধকার রাস্তা, ধারালো অস্ত্রের কোপ—তৃণমূল নেতা মুন্নাকে কুপিয়ে খুন! এলাকায় চাঞ্চল্য
জেলা

অন্ধকার রাস্তা, ধারালো অস্ত্রের কোপ—তৃণমূল নেতা মুন্নাকে কুপিয়ে খুন! এলাকায় চাঞ্চল্য

dead
Email :3

কোন্নগরের কানাইপুরে নৃশংস খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল। তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য (TMC Leader) পিন্টু চক্রবর্তী ওরফে মুন্নাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার সন্ধেয় অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। একের পর এক ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত করে দেয় তাঁকে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে (TMC Leader) স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতার SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে কানাইপুর অটো স্ট্যান্ড এলাকায়, যেখানে পিন্টু চক্রবর্তীর যথেষ্ট প্রভাব ছিল বলে জানা গেছে। তৃণমূলের অন্দরমহলে তিনি পরিচিত মুখ ছিলেন এবং এলাকার পঞ্চায়েতেও তাঁর কথার যথেষ্ট ওজন ছিল। এক সময়ের শক্তিশালী প্রাক্তন প্রধান আচ্ছেলাল যাদবের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন মুন্না, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলেই খবর।

এই খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কে বা কারা এমন নৃশংস ভাবে একজন জনপ্রতিনিধিকে খুন করে পালিয়ে যেতে পারল (TMC Leader)? এলাকাবাসী জানাচ্ছেন, ঘটনার সময় চারপাশে আলো ছিল না। যে রাস্তা দিয়ে মুন্না যাচ্ছিলেন, সেটি সরাসরি রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর নিয়মিত যাতায়াতের রাস্তা। অথচ, সেই রাস্তার আশপাশে পর্যাপ্ত আলো নেই, এবং মাত্র কয়েক কদম দূরেই রয়েছে একটি মদের দোকান—যা আরও প্রশ্ন তুলছে এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে (TMC Leader)।

খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কানাইপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভবেশ ঘোষ সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আগেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।

এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ না কি ব্যক্তিগত শত্রুতা, তা নিয়েও চলছে জল্পনা। মুন্না যে এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন, তা অস্বীকার করছে না কেউ। ফলে এমন একজন নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে রাজ্য রাজনীতির পটভূমিতে ভয়ানক বার্তা দিচ্ছে।

এখন দেখার, পুলিশের তদন্তে আসল সত্যি কতটা দ্রুত প্রকাশ্যে আসে এবং অপরাধীরা আদৌ ধরা পড়ে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts