ভাঙড়ে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে যখন জোরদার তদন্তে ব্যস্ত পুলিশ প্রশাসন, ঠিক তখনই ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বীরভূমের সাঁইথিয়ায় (TMC Leader)। নিশানায় এবারও রাজ্যের শাসকদলের এক প্রভাবশালী নেতা। লাভপুর বিধানসভা এলাকার শ্রীনিধিপুর গ্রামের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পীযূষ ঘোষের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবার ও রাজনৈতিক মহলে অভিযোগ—এ এক ঠান্ডা মাথায় রচিত খুনের চক্রান্ত (TMC Leader)!
পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গভীর রাতে কারা যেন তাঁকে (TMC Leader) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত প্রায় দু’টো নাগাদ রাস্তায় তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পরিবারের দাবি, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়, একেবারে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, পীযূষবাবুকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে (TMC Leader)।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লাভপুর সহ গোটা বীরভূমে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর v। কে বা কারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই পীযূষ ঘোষের মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য। তদন্তে নেমে পুলিশ আটক করেছে তিনজনকে—তাদের মধ্যে রয়েছে দু’জন মহিলা। চলছে জোরদার জেরা।
মৃত নেতার পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তাঁরা চান অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহার কথায়, “এটা একটা সাজানো চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়। না হলে মাঝরাতে কাউকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হবে কেন? পুলিশ যেন এর পেছনের মূল চক্রীদের খুঁজে বের করে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।”
এই মৃত্যু ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বীরভূমের রাজনৈতিক পরিবেশ। তৃণমূলের অন্দরেই কি চলছে কোনও গোপন লড়াই? নাকি এর পেছনে রয়েছে বাইরের কোনও ষড়যন্ত্র? সব প্রশ্নের উত্তর এখন পুলিশের তদন্তেই।