এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বিচারপর্ব শেষে ২০১১ সালের বহুচর্চিত তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে (TMC Leader) রায় দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত। সোমবার আদালত ১৯ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন তৎকালীন গোঘাটের ফরোয়ার্ড ব্লক বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক, সিপিএম নেতা দেবু চট্টোপাধ্যায় ও ভাস্কর রায়-সহ মোট ৭ জন। আদালত তাদের অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে, জানিয়েছে খালাসের কথা (TMC Leader) ।
২০১১ সালের ঘটনা। গোঘাটের শ্যাওড়া ইউনিয়ন হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি চরমে ওঠে। সেই সময় প্রকাশ্য রাস্তায় মাথায় গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিনকে (TMC Leader) । এই নৃশংস খুনের ঘটনায় গোঘাট থানায় ২৭ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত নেতার স্ত্রী (TMC Leader) ।
বছরের পর বছর ধরে চলে আইনি লড়াই। অবশেষে দীর্ঘ শুনানির পর সোমবার দোষী সাব্যস্ত করা হল ১৯ জনকে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, IPC ধারা ৩০২ (খুন) এবং ১৪৯ (অবৈধ জমায়েত ও সহ-অপরাধ) অনুযায়ী শাস্তি ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।
এই ঘটনায় রাজনীতির আঁচ ফের ছড়াল গোঘাটে। যাঁরা খালাস পেলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন শাসক বিরোধী নেতারা। ফলে উঠছে প্রশ্ন, রাজনৈতিক প্রভাব কি বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করেছে, নাকি এই খুন ছিল নিছকই একদলীয় প্রতিহিংসার ফল?
আদালতের রায়ের পর নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা হুগলি জুড়ে। দোষীদের কী সাজা ঘোষণা করা হবে, তার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।