Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • নদিয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মার, কাঁদতে কাঁদতে বললেন—‘চাকরি ছেড়ে দেব, বদলি দিন আমাকে!
জেলা

নদিয়ায় কলেজ অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মার, কাঁদতে কাঁদতে বললেন—‘চাকরি ছেড়ে দেব, বদলি দিন আমাকে!

college professotr
Email :1

নদিয়ার চাপড়া গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস পাণ্ডেকে কলেজ ক্যাম্পাসেই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীর দাদার বিরুদ্ধে (TMC Leader)। আক্রান্ত অধ্যক্ষ আতঙ্কে কলেজ ছাড়তে চান, এমনকি চাকরি ছাড়ার কথাও ভাবছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। চোখের জলে ভেঙে পড়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অধ্যক্ষ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলেও, অভিযুক্ত এখনও অধরা (TMC Leader)। অভিযোগ, তিনি এলাকাতেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

২০২১ সাল থেকে চাপড়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত শুভাশিসবাবু মূলত পরিবেশ সংরক্ষণ ও কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে থাকেন (TMC Leader)। স্থানীয় নয়নজুলিগুলির পাশে সরকারি জমিতে গজিয়ে ওঠা ঝোপঝাড় ও গাছগাছালিকে ঘিরে পরিবেশ রক্ষার প্রচারে তিনি একাধিক বোর্ড লাগিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেই বিপত্তি। অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি জমি দখল করে জঙ্গল সাফ করে ‘জায়গা পরিষ্কারের’ নামে চলছে অবৈধ দখলদারি। অধ্যক্ষ বোর্ড লাগিয়ে সেই বেআইনি কাজ রুখতে চেয়েছিলেন (TMC Leader)।

বুধবার অধ্যক্ষ যখন নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ডগুলি মেরামত করতে যান, তখনই এলাকার বাসিন্দা অজয় ঘোষ (TMC Leader) এসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, অনুমতি ছাড়া কেন বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এরপরই ক্যাম্পাসের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীর সামনেই অধ্যক্ষকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। অধ্যক্ষের দাবি, অজয়ের ভাই তৃণমূলের হাটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং তিনিও তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এলাকায় সরকারি জমি দখলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

ঘটনার পর অধ্যক্ষকে ভর্তি করা হয় চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। তিনি চাপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে অধ্যক্ষ বলেন, “আমাকে এখান থেকে মুক্তি দিন। ডিপার্টমেন্টকে বলব, আমাকে অন্যত্র বদলি করে দিন। আমি এই কলেজে আর এক মুহূর্তও কাজ করতে পারব না। যদি বদলি না হয়, তাহলে চাকরিই ছেড়ে দেব।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত অজয় ঘোষ নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, “আমার সেই সময় মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। রেগে গিয়ে পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে যদি আমার বাবাও থাকতেন, তাকেও মারতাম।”

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিক্ষক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts